
ভাত খেতে বের হয়েছিলেন এরশাদ
সিএমএইচে ভর্তি হওয়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কয়েক ঘণ্টার জন্য বাইরে এলেন। ঢাকা সেনানিবাসের হাসপাতালটি থেকে তিনি সোজা আসেন বনানীতে নিজ কার্যালয়ে। দলের নতুন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জানালেন, নিজের বাসায় ভাত খেতে ইচ্ছে হয়েছিলে এরশাদের।বৃহস্পতিবার সোয়া বরোটার দিকে হঠাৎ হাসপাতাল থেকে বনানীর কার্যালয়ের সামনে আসেন এরশাদ। গাড়িতেই সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে যান গুলশানে নিজ বাসায়। সেখানে করেন মধ্যাহ্নভোজ। সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন নতুন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।
জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ের সামনে সমবেত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, তোমাদের কোনো ভয় নেই, আমাদের কোনো ভয় নেই। আমরা সবসময় নির্বাচন করেছি এবারও নির্বাচন করবো।নিজের অসুস্থতা প্রসঙ্গে বলেন, আমার ব্লাড শটেজ রয়েছে। আমার বয়স হয়েছে, চিকিৎসা করাতে বাইরে যেতে দেবে না। তোমাদের দোয়ায় জাতীয় পাটি বেঁচে আছে। ভবিষ্যতেও বেঁচে থাকবে, কেউ আমাদের কিছু করতে পারবে না।কারা বিদেশে যেতে বাধা দিচ্ছে- এমন প্রশ্ন অবশ্য এড়িয়ে যান তিনি। আর গাড়ি থেকে না নেমেই তিনি চলে যান প্রেডিসেন্ট পার্কের (নিজের বাসার নাম) দিকে রওনা দেন।সদ্য জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়া মশিউর রহমান রাঙ্গা প্রসঙ্গে বলেন, পুরাতন মহাসচিবকে ভালোবাসতাম। নতুন মহাসচিবকেও ভালোবাসতে হবে। তাকে সহযোগিতা করতে হবে, গাইড করতে হবে।
গাড়িতে বসেই এরশাদ বলেন, আজ বলতে এসেছি। আমাকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। বেঁচে আছি, বেঁচে থাকবো। ২৭ বছর ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছি, পার্টি ছাড়ি নাই৷ সব নির্ভর করছে তোমাদের উপর। কেউ পার্টি ছেড়ে যেও না- আমাকে প্রতিশ্রুতি দাও৷এভাবে কয়েক মিনিট গাড়িতে বসে বক্তব্য দিয়েই এরশাদ চলে যান। এসময় দল নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেন এরশাদের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে, আওয়ামী লীগের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান…..।রাঙ্গা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকালে স্যার (এরশাদ) আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। উনি বলেছেন আজ দুপুরে তিনি বাসায় ভাত খেতে চান। এ কথা শুনে আমি স্যারকে সিএমএইচ থেকে নিয়ে আসি। আমার অনুরোধে তিনি বনানীর জাতীয় পার্টি কার্যালয়ের সামনে আসেন। তিনি (এরশাদ) যে সুস্থ আছেন তা দেখাতেই তিনি এরশাদকে কার্যালয়ের সামনে নিয়ে আসেন।’