
মন্ত্রিত্ব চলে গেলে সাংবাদিকতা করবেন কাদের
মন্ত্রিত্ব চলে গেলে আবারো সাংবাদিকতায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।মন্ত্রিত্ব চলে গেলে কি করবেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি সাংবাদিক ছিলাম। মন্ত্রিত্ব তো আর সারা জীবন থাকবে না, মন্ত্রিত্ব সব সময় থাকবে এমন তো কোনো কথা নেই, মন্ত্রিত্ব সব সময় থাকবে এই অহংকারও আমি করি না। অনেক বাঘা বাঘা মন্ত্রীরা এখন আর নেই। মন্ত্রিত্ব চলে গেলে আবার সাংবাদিক হয়ে যাব।সরকার মানুষকে খেয়ে ফেলছে এবং ১০ তারিখের পর জনগণ রাস্তায় নামবে মান্নার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, মান্না সাহেব একটু অপেক্ষা করুন। সরকার কি ভূমিকা পালন করছে সেটা জনগণ ৩০ তারিখের ভোটে বুঝিয়ে দিবে।
বিরোধী নেতাদের আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি নিয়ে কাদের বলেন, ১০ বছরে নামলো না, ১০ তারিখের পর আন্দোলন করবে। মনে হয় হেরে গিয়ে আন্দোলন করবে, এই তো?আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখি না আন্দোলন করতে কে আসে? মানুষ না থাকলে তো আন্দোলন হয় না। মানুষের সাড়া নেই বলে, এই ১০ বছরে তারা কোনো আন্দোলন করতে পারেনি।নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে কাদের বলেন, অসুস্থ পরিবেশ কোথায় সৃষ্টি হয়েছে এই নগরীতে? এই মুহূর্তে এই ঢাকা শহরে কোথায় পরিবেশ অসুস্থ? যেটুকু অসুস্থ হয়েছে সেটা পল্টনে তারা করেছে। আমি নিশ্চিত করে বলছি, আমাদের তরফ থেকে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে না।
‘আমরা কোনও বিশৃঙ্খলা করবো না, এ ব্যাপারে আমাদের নেত্রী নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছে। কিন্তু তারা যদি বিশৃঙ্খলা – নাশকতা করতে চায়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে’-যোগ করেন কাদের।বিজয়ের মাসে ভোট হওয়ায় বিএনপির মন খারাপ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার উৎসবের মতো ভোট হবে, এজন্য তাদের মনটা একটু খারাপ।প্রসঙ্গত, ওবায়দুল কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। ছাত্রজীবনে রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতা ও লেখালেখি করতেন তিনি। বাংলার বাণী পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন দীর্ঘ সময়। এ পর্যন্ত তার লেখা কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে।