235146

ছাত্রী অরিত্রি আত্মহত্যা, ভিকারুননিসার প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুলের ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় বিদ্যালয়টির প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার ‍দুপুরে তাকে বরখাস্ত করা হয়। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান গোলাম আশরাফ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, গতকাল রাতে জিনাত আরাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে গেলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় তিনি জানান, তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসী নিহত শিক্ষার্থীর বাবা-মার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ ক্লাস পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে বাবাকে ডেকে অপমান করায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী সোমবার দুপুরে শান্তিনগরের ৭ তলার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে বিকাল ৪টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।অরিত্রি অধিকারী ভিকারুন্নেসা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী একজন কাস্টসম (সিঅ্যান্ডএফ) ব্যবসায়ী। পরিবারের সাথে রাজধানীর শান্তিনগরে থাকতো সে। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়।

অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, অরিত্রির বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার স্কুলে পরীক্ষার সময় তার মেয়ে মোবাইল নিয়ে গিয়েছিল। মোবাইলে নকল আছে এমন অভিযোগে ওই স্কুলের শিক্ষক সোমবার তাদের স্কুলে আসতে বলেন। সোমবার পরীক্ষার সময় অরিত্রির সঙ্গে তারা স্কুলে যান। পরে তাদের ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে নিয়ে গেলে তারা মেয়ের নকল করার ব্যাপারে ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু ভাইস প্রিন্সিপাল কিছু করার নেই বলে তাদের প্রিন্সিপালের রুমে যেতে বলেন। সেখানে গিয়েও তারা ক্ষমা চান। কিন্তু প্রিন্সিপালও তাতে সদয় হননি। এসময় স্কুল পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্যও ছিল। পরে তার মেয়ে প্রিন্সিপালের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলেও তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন এবং পরের দিন টিসি নিয়ে আসতে বলেন। এ সময় আমি মেয়ের সামনেই কেঁদে ফেলি। অরিত্রি হয়তো আমার ওই কান্না-অপমান মেনে নিতে পারেনি।

ad

পাঠকের মতামত