
সরকারের গলায় কাঁটা ঠেকে গেছে, তাই নানান কলা-কৌশল করছে : কাদের সিদ্দিকী
ঐক্যফ্রন্টকে দূরে রাখতেই নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে সরকার। এমনটিই মনে করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। যেসব আসনে ফ্রন্টের প্রার্থী সীমিত রয়েছে, সেগুলো পূরণে রাজনৈতিক কৌশলে আইনি লড়াইয়ের বাইরে কোনো কিছুই ভাবছেন না দলের নেতারা। মানুষের ওপরে কোনো আস্থা নেই সরকারের। তাদের এখন গলায় কাঁটা ঠেকে গেছে। তাই তারা সেখান থেকে বাঁচার জন্য যত রকম কলা-কৌশল আছে সেগুলো করছে বলে মন্তব্য করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সূত্র : নিউজ ২৪ টেলিভিশনমনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে ক্ষমতাসীনদের দীর্ঘ তালিকার বিপরীতে দেশেলর বিরোধী দলের জোটের দীর্ঘতায় মনোনয় বাতিলের তালিকা। এমন অভিযোগ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের। বিশাল বাতিলের তালিকায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা জানান, নির্বাচনকে কলুষিত করতেই নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে সরকার।
প্রাথমিক যাচাইয়ে অন্তত ৭টি আসনে সংকট দেখা দিয়েছে ঐক্যফ্রন্টের। তবে আপাতত আইনি লড়াইয়ের বাইরে কোনো কিছুই ভাবছেন না জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে দলের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, বাতিলের বিষয়টি অনেক জায়গায় তারা না করলেও পারতেন। তবে অনেক জায়গায় মামলা ও অর্থদন্ড সংক্রান্ত অনেক প্রার্থী তারা নামিয়েছেন। যা কমিশন আমলেই নেননি। এই যে বৈষম্য, সেটা দিয়েই প্রমাণ করে বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিকে বৈষম্য করা হচ্ছে। আর সরকারি দলের যারা আছেন তাদের পক্ষ নিচ্ছে, এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। সেগুলো আমরা প্রার্থী দেখবো এবং এই বিষয়টি আইনের মাধ্যমে রাখার চেষ্টা করবো।
জাতীয়
ঐক্যফ্রন্টের সদস্য বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ৭টি আসনে যদি আসন শূন্য থাকে তারপরেও ঐক্যফ্রন্টের জয় সুনিশ্চিত। ৩০০ আসনের মধ্যে ৭টি আসন কোনো ব্যাপার না। ইয়াহিয়া খান লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক নামে অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন, কিন্তু সে নির্বাচনে বাঙালীরা তার স্বাধীনতা এনেছিলেন। একইভাবে এই নির্বাচনেও বাঙালীরা তাদের অধিকার অর্জন করবে।নির্বাচনে সরকারের পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে এমন আচরণ বলে জানান নেতারা। সূত্র: আমাদের সময়.কম