
দেয়া হচ্ছে না মনোনয়ন বাতিলের সার্টিফায়েড কপি
মনোনয়ন বাতিল হওয়া আদেশের সার্টিফাইড কপি না দেয়ার অভিযোগ করেছেন রাজশাহীর রাজশাহীর ছয় প্রার্থী। সোমবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহীর সিটি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ অভিযোগ করেন তারা।সংবাদ সম্মেলন থেকে রাজশাহীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম আবদুল কাদেরের অপসারণও দাবি করেছেন এসব প্রার্থী।প্রার্থীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক। যাচাই-বাছাইয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়।আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগ করেন, ছোটখাটো ত্রুটিতে রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। আপিলের জন্য ওই দিনই আদেশের সার্টিফাইড কপি চেয়ে আবেদন জমা দেই আমরা।
সোমবার সকালে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে যাই। কিন্তু ওই আদেশের কপি দিতে গড়িমসি শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সেটি না দিয়ে দুপুরে তিনি দফতর ত্যাগ করেন। এর আগে সার্টিফাইড কপি চাইতে গেলে নিজ দফতরে প্রার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সার্টিফাইড কপি ছাড়া আপিল আবেদন সম্ভব নয়। প্রার্থিতা আটকাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ট হয়ে নির্দেশ পালন করছেন। তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এমন আচরণ করা হচ্ছে। এই রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই দ্রুত তার অপসারণ চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী একেএম মতিউর রহমান মন্টু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান, রাজশাাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বাসদের প্রার্থী আলফাজ হোসেন, বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পক্ষে ব্যারিস্টার মাহফুজুর মিলন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপি প্রার্থী আবদুল গফুরের পক্ষে এএসএম আরিফ।জানা গেছে, নির্বাচনে অংশ নিতে রাজশাহীর সংসদীয় ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ৬৮ প্রার্থী। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৫৩ জন। এদের ৩০ জনের মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়। যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়ে যান ২৩ প্রার্থী। বাদ পড়া প্রার্থীরা আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিলে ফিরে আসার সুযোগ পাবেন।