
আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে বিরোধী শিবিরে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাউন্টডাউন চলছে। আর ২৫ দিন পর আসছে সেই মাহেন্দ্রেক্ষণ। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। মনোনয়নপত্র জমা ও বাছাইও শেষ। এখন অপেক্ষা ৯ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের দিন। তারপর শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। সেই যুদ্ধ কেমন হবে তা নিয়ে রয়েছে নানা শঙ্কা। এবার নির্বাচন হচ্ছে একটি দলীয় সরকারের অধীনে। তাই শঙ্কা আর আশঙ্কার মাত্রাটাও বেশি। গ্রামের চায়ের স্টল থেকে শহর। সর্বত্রই নির্বাচন নিয়ে আলোচনার ঝড়। ভোটারদের শঙ্কা ভোট দিতে পারবেন কিনা। আর বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে গ্রেফতার আতঙ্ক।
প্রায় প্রতিদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ ধরে নিচ্ছে। বাড়ি ও এলাকা ছেড়ে অন্যত্র থাকতে হচ্ছে। বিএনপির অনেক প্রার্থী দলীয়ভাবে মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পরও এলাকায় যেতে পারছেন না। প্রার্থীদের অভিযোগ এলাকায় যাওয়ার মত পরিবেশ এখনো হয়নি। প্রতিদিনই তাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা এলাকা যাবেন। জানালেন কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী শরিফুল আলম। তিনি বলেন, আমরা এখনো এলাকায় যেতে পারছি না। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার চলছে। পুলিশ নানাভাবে গ্রেফতার বাণিজ্য করেই চলেছে। এর প্রতিকার নেই। সেনাবাহিনী নামনো হলে হয়তবা কিছু পরির্বতন হতে পারে। তারপরও আতঙ্ক তো আছেই।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করে বলছেন, প্রতিদিনই কোনো কোনো এলাকায় আমাদের নেতাকর্মীদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। বাসায় বাসায় হানা দিচ্ছে। তাদেরকে না পেলে তারা পরিবার পরিজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। নির্বাচনের পরিবেশ একেবারেই নেই।বিএনপি মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে সমতল মাঠ এখনো তৈরি করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে নিবাচন কমিশন। নেতাকর্মী থেকে শুরু করে দলের প্রার্থীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। সর্বত্রই একটা অস্থির পরিবেশ বিরাজ করছে। সূত্র: আমাদের সময়.কম