234231

ব্যবসার চেয়ে বাড়ি ভাড়ায় আয় বেশি কামাল মজুমদারের

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের নগদ টাকা কমেছে, বেড়েছে বাস ট্রাক মোটর গাড়ি সম্পদ। আর কৃষিখাত থেকে তার আয় আগের চেয়ে কম দেখা গেছে। তবে বাড়ি ভাড়া বাবদ আয় বেড়েছে। ব্যবসায়ও আয় বেড়েছে। শেয়ার সঞ্চয়পত্র ব্যাংক আমানত কমিয়েছেন।এবার জমা দেওয়া হলফনামা ও ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া যায়। এবারের হলফনামা অনুযায়ী কামাল মজুমদারের বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়ায় বার্ষিক আয় হয় প্রায় ৭৪ লাখ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ২৬ লাখ।

ব্যবসা হিসেবে কৃষি মৎস খামারের কথা উল্লেখ থাকলেও আয়ে মৎস খামারের আয় দেখাননি তিনি। কৃষি খাত থেকে বছরে ৩৩ হাজার টাকা আয় দেখিয়েছেন।হলফনামায় তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ২০১৪ সালে তিনি এমপি নিবাচনের সময় কোনো প্রতিশ্রুতি দেন নাই। তবে নির্বাচিত হয়ে এলাকার স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, এতিমখানা নিমাণ ও সংস্কার করেছেন। এছাড়া শিক্ষার উন্নয়নের জন্য নতুন ভবন নিমাণ ও এমপিওভুক্ত করেছেন।কামাল মজুমদারের ১০ম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্থাবর সম্পত্তির পুরো বিবরণ উল্লেখ করা হয়নি। ২০০৮ সালে তার স্থাবর সম্পত্তি ছিল তিন কোটি ৯৪ লাখ ২৫ হাজার ৪৭৬ টাকা। তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি ছিল চার লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও চা-বাগান, রাবার বাগান ও মৎস্য খামার থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

২০১৩ সালে তার বাৎসরিক আয় এক কোটি ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩০ টাকা। সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্ত সম্মানী উল্লেখ করেননি তিনি। এছাড়া, অন্যান্য খাত থেকে ১৪ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছেন। ২০০৮ সালে তার আয় ছিল প্রায় ৫৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। পরিবারের অন্য সদস্যদের আয় দেখিয়েছিলেন ১৬ হাজার ৮২৫ টাকা।তার ও স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ছিল এক কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮২৭ টাকা। ২০১৩ সালে তার অস্থাবর সম্পত্তি ছিলো ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩৫ হাজার ১৪৪ লাখ টাকা। তার নামে মামলা ছিল ২১টি। সব মামলায় খালাস পান তিনি।

ad

পাঠকের মতামত