234279

টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যেভাবে সংঘর্ষ শুরু (ভিডিওসহ)

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে শনিবার সকালে মাওলানা সা’দ আহমাদ কান্ধলভী ও মাওলানা যোবায়ের আহমেদপন্থীদের মধ্যে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।মুসল্লিরা জানান, গত ৩০ নভেম্বর শুক্রবার থেকে ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত মাওলানা সা’দপন্থী মুসল্লিরা ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিলে মাওলানা যোবায়েরপন্থীরা এর বিরোধিতা করেন এবং জোড় ইজতেমা প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এর আগেই মাওলানা যোবায়ের আহমেদপন্থীরা ময়দানের অবস্থান নেন।শনিবার সকালে মাওলানা সা’দ পন্থীরা ইজতেমা ময়দানে গেলে ময়দানের প্রতিটি গেটে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে সা’দপন্থীরা ময়দানের গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে তারা গেট ভেঙে ময়দানে প্রবেশ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।সংঘর্ষে মাওলানা সা’দপন্থী মুন্সিগঞ্জের মিরকীপাড়া গ্রামের ইসমাইল মণ্ডল (৭০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে রিয়াজুল ইসলাম (৩৫), রিফাত হোসেন (১৯), মতিউর রহমান (৪৩), ওমর ফারুক (৩৪), রাজু আহমেদ(৪৪), ইমান আলী (৩৭), জালাল খাঁ (৪৩), মো. সাইফুল ইসলাম (৪০), মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম (৫৫), হাফেজ আবু বক্কর (৩৫), মো. গোলাম কিবরিয়া (৪২), মো. জুয়েল (১৮), হাজী মো. রেজাউল করিম (৪৫), আশ্রাফুল ইসলাম ((১৮), মতিউর রহমান (৪৫), মাহমুদ হোসেন (৩৪), শামীম আহমেদ (৩২), মনিরুল ইসলাম (২৩), মানিক হোসেন (৩৩), মো. দাউদ হোসেন (৪০), তাহের আলী (৩৭), আবু নাঈম(২৩), নজরুল ইসলাম (৪৪), আবুল কালাম আজাদ (৪৫), মো. কামরুজ্জামান (৪৩), জহিরুল ইসলাম(৩৪), কামাল খাঁ (৪৫), মাহবুবু হোসেন (২৫), রোস্তম আলী (৪৪), রাশেদ মিয়া (২৭), আবদুর রব (৩৩), আব্দুল হামিদ (৩৬), মাহফুজুর রহমান (৫৩), মুরাদ হোসেন (৪৬), শহিদুল ইসলাম (৪৫), রিফাত হোসেন (২০), রাশেদুল ইসলাম (২৫), হযরত আলীসহ (৩৭) অন্তত ৫০০ মুসল্লি আহত হয়ে টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল ও আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহতদের মধ্যে বেশির ভাগই মাথা, নাক ও পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।মাওলানা সা’দপন্থী একজন অনুসারী মো. শাহজাহান পাঠান জানান, আমাদের পূর্বঘোষিত জোড় ইজতেমা পালনের জন্য ময়দানে গেলে মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা লাঠিসোঁটা, চাপাতি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। আত্মরক্ষার্থে আমরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করি।এ ব্যাপারে সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পারভেজ হোসেন বলেন, একসঙ্গে রক্তাক্ত জখমের এতো রোগী টঙ্গী হাসপাতালে আর আসেনি। আমরা সবাই মিলে এদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আগত মুসল্লিদের সকাল থেকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছি। কিন্তু হঠাৎ তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত