230454

ফেসবুকে ভাইরাল আ’লীগ নেতার হুমকী মুলক অশ্লিল বক্তৃতার ভিডিও

নিউজ ডেস্ক।। বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগের এক পক্ষকে মারধরের হুমকি দেয়ার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মৃত আবুল কালাম মুন্সির ছেলে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার মধুপুর চৌরাস্তার মোড়ে তাকে মারধর করেন দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার সহযোগী চাপড়ি গ্রামের রিপন মেম্বার, বরইখালী গ্রামের আব্দুল হান্নান ও মধুপুর গ্রামের আজিজুলও আহত হন।

পরে রাত ১টার দিকে হিরনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আত্মসম্মান বিবেচনায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও রোববার সকালে তা জানাজানি হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে হিরনের চিকিৎসা রেজি নং ৭১০৪/২।ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের রাত্রিকালীন চিকিৎসক ডা. শাহিন জানান, শনিবার রাত ১টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন কয়েকজন সঙ্গীসহ হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান।

তিনি আরও জানান, হিরন চেয়ারম্যানের ডান হাটু ও ডান হাতের হিপ জয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ জানান, তিনি শুনেছেন সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরনকে মারধর করা হয়েছে। তবে কারা তাকে মেরেছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি। ঝিনাইদহ সদর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পোড়াহাটী ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহ মোহাম্মাদ ইব্রাহীম খলিল রাজা জানান, শনিবার রাতে শহিদুল ইসলাম হিরন লোকজন নিয়ে মধুপুর এলাকায় অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে কে বা কারা সেখানে এসে তাকে গণপিটুনি দেয়। এ সময় হিরনের ২০/২৫ জন সমর্থকও আহত হন।

তবে তারা প্রশাসনের লোক নাকি কোনো প্রতিপক্ষ গ্রুপ তা যুবলীগ নেতা রাজা নিশ্চিত করতে পারেননি। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, তারা নিজেরা নিজেরা নাকি অন্য কারও সঙ্গে গণ্ডগোল হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন শহিদুল ইসলাম হিরন সম্ভবত হাসপাতালে ভর্তি হননি, এটা আমি জানি। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে শহিদুল ইসলাম হিরনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শহিদুল ইসলাম হিরনের জনসভার অশ্লীল বক্তৃতার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে তিনি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সমালোচনার মুখে পড়েন। হিরণ সদর উপজেলার সাধুহাটি, হলিধানী বাজার, হাটগোপালপুর, মধুপুর, গোয়ালপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্য জনসভায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপকে মারধর করে পাছার চামড়া তুলে নেয়ার হুমকি দেন।

এ সময় হিরন বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঠ্যাং ভেঙে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানোরও হুমকি দেন। পুলিশ তার এই নির্দেশ না মানলে তাদের ঝিনাইদহ ছাড়ার হুমকি দেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। তার এই অশ্লীন ও প্রকাশের অযোগ্য বক্তৃতার ভিডিও আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদ তার ফেসবুকে দিলে তা ভাইরাল হয়।

উৎস: পরিবর্তন।

ad

পাঠকের মতামত