213730

জেলে প্রথম রাত না খেয়েই কেটেছে সালমানের

হরিণ শিকার মামলায় আদালতের রায় গিয়েছে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বিপক্ষে। পেয়েছেন পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা। রায় ঘোষণার পর পরই তুমুল জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে পাঠানো হয় ভারতের যোধপুর কারাগারে। সেখানে প্রথম রাত কিছু না খেয়েই কেটেছে বলিউড ভাইজানের।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার নৈশ্যভোজের জন্য সালমান খানকে ডাল-রুটি দেওয়া হয়। তবে তিনি ছুঁয়েও দেখেননি সেই খাবার। এমনকি বাইরের খাবারের জন্যও অনুরোধ করেননি তিনি।
এদিকে কারাগারে প্রবেশ করার পর সালমানের রক্তচাপ বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন কারাগার কর্তৃপক্ষ। তবে পরে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

আজ শুক্রবার কারাগার নিয়ন্ত্রক বিক্রম সিং বলেন, ‘একজন তারকা কারাবন্দি হওয়া সত্ত্বেও কোনো ধরনের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না। তার জন্য একটি খাট ও একটি কম্বল দেওয়া হয়েছে। কক্ষে আছে একটি এয়ার কুলার। জেলের অন্যান্য বন্দিরা যা খান তাকেও তাই দেওয়া হবে।’

সালমানের রায়ের পর থেকেই যোধপুরে এখনও অবস্থান করছেন তার দুই বোন অর্পিতা ও অলবিরা। জানা যায়, আজ সালমানের দুই ভাই সোহেল খান ও আরবাজ খান যোধপুর যাবেন।

বিলুপ্তপ্রায় কৃষ্ণসার প্রজাতির হরিণ শিকার মামলায় দোষী সাব্যস্ত সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার রুপি জরিমানা করে ভারতের যোধপুর আদালত। গতকাল রায় শেষে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার ২৮ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খত্রি এ রায় দেন। এর আগে গত ২৮ মার্চ মামলার চূড়ান্ত আবেদন যোধপুরের একটি গ্রাম্য আদালতে সম্পন্ন হয়।

এই মামলায় সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে যোধপুর প্রদেশের কাঙ্কানি গ্রামে গিয়েছিলেন। শুটিং চলাকালে ১ ও ২ অক্টোবর রাতে আলাদা আলাদা দুটি জায়গায় সালমান কৃষ্ণসার শিকার করেন।

পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দাবাং খান ভারতীয় বন্যপ্রাণী প্রতিরক্ষা দণ্ডবিধির ৫১ ধারার সম্মুখীন হয়েছেন। এই ধারা মোতাবেক তার সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত জেল হতে পারতো।

ad

পাঠকের মতামত