207851

১৬ মার্চ মাঠে নামলেই জেতে বাংলাদেশ!

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে ১৬ মার্চ একটি স্মরণীয় দিন। এটি জাতীয় দলের শোককে শক্তিতে পরিণত করার বিশাল উপলক্ষ। ভুলে গেলে চলবে? আজ সাবেক প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার মানজারুল ইসলাম রানার মৃত্যু দিবস! এই দিনে কলম্বোর প্রেমাদাসা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নামছে টাইগাররা। প্রিয় সতীর্থের কথা স্মরণ করে শ্রীলংকার বিপক্ষে কি একটু বেশিই তেতে থাকবেন তারা?

ইতিহাস কিন্তু সাক্ষ্য দেয়। ২০০৭ সালের এই দিনে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান রানা। তার সঙ্গে ওই দিন জীবন-নদীর ওপারের বাসিন্দা হন খুলনা বিভাগীয় দলের আরেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার সাজিদুল ইসলাম।

রানা যেদিন পরপারে পাড়ি দেন, সেদিন হাজার মাইল দূরে বাংলাদেশ দল। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে তখন চলছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর (ওয়ানডে বিশ্বকাপ)। সেই টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন এ দুঃসংবাদ নাড়িয়ে দিয়েছিল টাইগারদের।

তবে দমে যাননি তারা। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করেন মাশরাফিরা। রচনা করেন নয়া ইতিহাস। ১৭ মার্চ পোর্ট অব স্পেনে ভারত-বধ করেন তারা। সেবার বাংলাদেশের কাছে ৫ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয় রাহুল দ্রাবিড়ের শক্তিশালী ভারত।

১৬ মার্চ মাঠে নামলেই জেতে বাংলাদেশ! দেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে এমন একটি বিশ্বাস শিকড় গেঁড়ে রয়েছে!

২০১২ সালে ঢাকায় এশিয়া কাপের কথা মনে আছে? ওই যে শচীন টেন্ডুলকারের শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির দিনটি! ভারতের ২৯০ রান তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ। এতে ম্লান হয়ে যায় টেন্ডুলকারের ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি।

এর পর ঢাকায় ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে একই দিনে আফগানিস্তান ‘জুজুকে উড়িয়ে দেয় টাইগাররা।

প্রেমাদাসায় আজ মাঠে নামার আগে মানজারুল ইসলাম রানাকে নিশ্চয়ই মনে পড়বে তামিম-মুশফিকদের। না থেকেও হয়তো তাদের পাশে থাকবেন রানা। অবশ্য এবার প্রতিপক্ষ ভারত বা আফগানিস্তান নয়, শ্রীলংকা। এ ম্যাচ জিতলেই ১৮ মার্চ নিদাহাস ট্রফির শিরোপার লড়াইয়ে ভারতের সঙ্গী হবে বাংলাদেশ। রানার ১১তম মৃত্যুদিনে ফের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে তারা- সেই প্রত্যয় ব্যক্ত করাই যায়।

ad

পাঠকের মতামত