
রেকর্ড গড়েই জিতবেন, শুরু থেকেই বিশ্বাস ছিল টাইগারদের
বাংলাদেশের সামনে তখন ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য। পাহাড়সমই বটে। কারণ এতো বড় লক্ষ্য তাড়া তো দূরের কথা, আগে ব্যাট করেও যে করেনি কখনো। কিন্তু এতো রানের পাহাড় দেখেও ঘাবড়ে যায়নি টাইগাররা। উল্টো শুরু থেকেই ভেবেছেন ম্যাচটা তারাই জিতবেন! জিতলেনও। তাও দাপট দেখিয়েই। ম্যাচে শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
শ্রীলঙ্কান ইনিংসে বাংলাদেশের বোলাররা যে বেদম পিটুনি খেয়েছেন, তাতে মনে হয়েছিল তখনই হেরে গিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু কলম্বোর প্রেমাসাদা স্টেডিয়ামে শনিবার দিনটা ছিল বাংলাদেশের। রেকর্ড গড়েই জয় তুলে নেয় তারা। এক মুহূর্তের জন্যও বিশ্বাস হারাননি টাইগাররা, মাহমুদউল্লাহর ভাষায়, ‘আমার মনে ম্যাচটা অনেক স্নায়ুচাপের ছিল। প্রথম ইনিংসে বোলাররা অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু এটা ব্যাট করার জন্য খুবই ভালো উইকেট ছিল। এটা খুবই ভালো যে ফলাফল আমাদের পক্ষে গিয়েছে। সত্যি কথা বলতে শুরু থেকেই ভেবেছিলাম আমরা জিততে পারবো। ‘
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। ৬ ওভারেই আসে ৭৪ রান। স্বপ্নের শুরুটা সেখান থেকেই। এরপর মুশফিকুর রহীম তার শৈল্পিক ছোঁয়ায় দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এমনকি তুলির শেষ আঁচরটাও দিয়েছেন। তাতেই মুগ্ধ অধিনায়ক। মুগ্ধতা ছড়ানো ইনিংসটি নিজেদের জন্য অনুপ্রেরণারও মনে করছেন তিনি, ‘তামিম এবং লিটন দারুণ সূচনা এনে দিয়েছে। এরপর মুশি ছিল অবিশ্বাস্য। এটা সত্যি দেখার মতো দারুণ ছিল এবং আমাদের জন্য অনুপ্রেরণারও।’
দারুণ দলগত জয় টাইগারদের। আগের ম্যাচেই যে ব্যাটসম্যানরা বোলারদের এনে দিতে পারেননি লড়াইয়ের পুঁজি, পরের ম্যাচেই গেলেন বদলে। তবে এদিন কৌশলগত কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন টাইগাররা। ড্যাসিং ওপেনার সৌম্য সরকারকে রেখে ওপেনিংয়ে লিটন। যিনি করলেন মাত্র ১৯ বলে ঝড়ো ৪৩ রান। আর তাতেই জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহও বলেন সে কৌশলের কথা, ‘আমরা জানতাম তারা (শ্রীলঙ্কা) আকিলাকে (ধনাঞ্জয়া) প্রথম অথবা দ্বিতীয় ওভারে আনবে তাই আমরা ওপেনিং করতে লিটনকে পাঠিয়েছিলাম।’
বেশ কিছু দিন থেকেই টাইগাররা ছিল হারের বৃত্তে আটকে। আর তখন বার বার বলেছিলেন একটি জয় ফিরিয়ে দেবে তাদের আত্মবিশ্বাস। শনিবারই পেলেন সে কাঙ্ক্ষিত জয়। রেকর্ড গড়েই। এমন জয়ে শুধু আত্মবিশ্বাস নয়, মানসিক দৃঢ়তাও বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। এখন দেখার বিষয় টাইগাররা এ আত্মবিশ্বাস কতটুকু কাজে লাগাতে পারে।