205767

এই দলে কে কে আছেন? যারা ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না তারা বেশি বুদ্ধিমান!

সকাল সকাল ঘুম থেকে ডাকলেই মেজাজ গরম হয়ে যায়? ‘ঘুমিয়েই তো জীবনের অর্ধেক সময় নষ্ট করে দিলে’- শুনতে হয় এই গঞ্জনা? তবে এবার গবেষকরা বলছেন, প্রথম অ্যালার্ম শুনেই যারা ভোরে উঠে পড়েন, তাদের থেকে যারা দেরিতে ঘুম থেকে উঠেন তারা বেশি স্মার্ট, বুদ্ধিমান ও সুখী।

২০০৯ সালে এলসভিয়ারে প্রকাশিত ‘কেন রাতের পেঁচারা বেশি বুদ্ধিমান’ শীর্ষক গবেষণা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কখন আপনি ঘুমোতে যাবেন, কখন ঘম থেকে উঠবেন এটা যদি আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে আপনি অন্যদের থেকে বেশি বুদ্ধিমান, বেশি সৃজনশীল ও বেশি সুখী।

অধ্যাপক সন্তোষী কানাজাওয়া ও কাজা পেরিনার গবেষণা বলছে, পারিপার্শ্বিক দায়িত্ব-কর্তব্যই আমাদের ঘুমের বিলাসিতা ছাড়তে বাধ্য করে। শরীরের ঘুমের বোতামটি অফ করে দেয়। এই বোতামের তোয়াক্কা না-করে বাইরের যাবতীয় কাজ-কর্মকে দূরে সরিয়ে রেখে প্রয়োজন মতো ঘুমিয়ে নিতে পারেন, তারাই বেশি বুদ্ধিমান হন। কারণ তাদের ব্যক্তিগত এনার্জি যথেষ্ট বেশি থাকে।

এছাড়াও ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি গবেষণা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যারা রাত ১১টায় ঘুমাতে যান আর সকাল ৮টায় ওঠেন, তারা সুখী ও আশীর্বাদধন্য জীবনযাপন করেন। তারা বেশি অর্থও উপার্জন করেন। কাজেই আমাদের সবার অ্যালার্ম দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ১২ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। আর যখন উঠতে ইচ্ছে করবে, তখনই ঘুম থেকে উঠুন। তাই বলে আবার অত্যধিক ঘুমাবেন না। তা খুব-একটা স্বাস্থ্যকর নয়। পরিমিত ঘুমান। যা আপনাকে সুস্থ ও ফুরফুরে রাখবে।

ad

পাঠকের মতামত