
চালের দাম বাড়ল, কমেছে পেঁয়াজ ও ডিমের
রাজধানীর রাজারে নতুন করে চালের দাম বাড়ল। এর ফলে অস্বস্তিতে পড়ল স্বল্প আয়ের মানুষ। এদিকে দাম কমেছে পেঁয়াজ ও ডিমের।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, আজ শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাইল, মিনিকেট মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পাইজাম, লতা ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা ও স্বর্ণা, ইরি ৪৩ থেকে ৪৬ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। যা সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ২ টাকা বেশী নেওয়া হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা মাসুদ মিয়াজি গণমাধ্যমকে বলেন, আমন মৌসুম শেষ হওয়ার পর এখন ধাপে ধাপে চালের দাম বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেটের দাম বেড়েছে ১/২ টাকা করে। অন্য চালের দামও বেড়েছে।
এদিকে টিসিবি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন চালের দাম বাড়ার কোন কারণ নেই। মিল মালিকরা কারসাজি করে চালের দর বাড়াচ্ছে।
অপরদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি ও দেশি পেঁয়াদের দাম কমায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজারে।
কারওয়ানবাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা জয়নাল আবেদিন গণমাধ্যমকে বলেন, গত শুক্রবার দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) ২০০ টাকা থেকে ২১০ টাকার মধ্যে ছিল। তবে এই সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের পাল্লা ১৮০ টাকায় নেমেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
দাম কমেছে ডিমেরও। বর্তমানে ফার্মের মুরগির লাল ডিমের হালি ২৪ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়া স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম। আজ শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি সিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, আলু ১৬ থেকে ১৮ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শশা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়। আর প্রতিটি ফুলকপি, বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
স্থিতিশীল রয়েছে মাছ ও মাংসের দামও। আজ বাজারে প্রতি কেজি রুই ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কাতল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, শিং ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।