নায়িকাদের ব্যর্থ প্রেমের খসড়া
সহকর্মীর সঙ্গে হৃদয়ের বন্ধনে জড়ানো অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, এটি একটি আবেগী সম্পর্ক। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় না। চিত্রনায়িকাদের মধ্যেও এই প্রবণতা রয়েছে। ষাটের দশকের সুমিতা দেবী থেকে হালের অপু বিশ্বাস পর্যন্ত অনেকেই জড়িয়েছেন সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে সেই প্রেম। এমনই কয়েকজন নায়িকার আলোচিত আবেগী সম্পর্কে নিয়ে আজকের আয়োজন-
১) ববিতা: ১৯৭৩ সালে সাইফুল আজম কাশেম পরিচালিত ‘অন্তরালে’ চলচ্চিত্রে ববিতা-জাফর ইকবাল জুটিবদ্ধ হয়ে প্রথম অভিনয় করেন। এরপর একাধারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করে তারা ঘনিষ্ঠ হন। ১৯৭৫ সালে এ জুটিকে নিয়ে ইবনে মিজান নির্মাণ করেন ‘এক মুঠো ভাত’। এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েন। তখন সিনে পত্রিকাগুলোর কল্যাণে বেশ আলোচিত হয় এই প্রেম। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সত্তর দশকের শেষ ভাগে তাদের প্রেমের ইতি ঘটে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ববিতাকে নিয়ে বিরহ কাতর জাফর ইকবাল গেয়েছিলেন ‘সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী’ ।
২) শাবানা: ষাটের দশকে অভিনয়ে আসেন শাবানা। এহতেশামের ‘চকোরী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নাদিমের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন তিনি। এরপর ‘ছোট সাহেব’, ‘চাঁদ আওর চাঁদনী’সহ প্রায় ৮টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিল এ জুটি। জুটিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে গিয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পত্রপত্রিকাগুলো ফলাও করে তাদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ করে। কিন্তু তাদের প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়াতে দেননি চিত্রনির্মাতা এহতেশাম। এ নির্মাতা তার মেয়ে ফারজানাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিলেন নাদিমকে। এভাবেই ইতি ঘটে শাবানা-নাদিমের প্রেমের। নাদিম বিয়ে করার পর শাবানা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। বিরহে কাতর ছিলেন দীর্ঘদিন।
৩) শাবনূর: এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্রে আসেন শাবনূর। এ চলচ্চিত্রে তার নায়ক ছিলেন সাব্বির। প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সেই প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পরে সালমানের সঙ্গে জুটি বাঁধতে গিয়ে শাবনূর তার প্রেমে পড়েন। সালমানের অকাল মৃত্যুর পর রিয়াজের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন শাবনূর। উভয়ে একসঙ্গে দীর্ঘ সময় কাজ করতে গিয়ে প্রেমে পড়েন। তাদের প্রেম ও গোপন বিয়ের খবর ২০০০ সালের প্রথম পর্যন্ত চলচ্চিত্র ও এ অঙ্গনের বাইরে ঝড় তোলে। শেষ পর্যন্ত নৃত্যশিল্পী এবং মডেল তিনাকে বিয়ে করে রিয়াজ এ সম্পর্কের অবসান ঘটান।
৪) পপি: নব্বই দশকের সফল জুটিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পপি-শাকিল খান। দুজনে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে প্রেমে পড়েন। সেই প্রেম গোপন বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু এতে বেঁকে বসেন পপির মা। ফলে শাকিলের সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদ করতে বাধ্য হন পপি। তাদের প্রেম-বিয়ে সম্পর্ক আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল।