202876

জোর করে কেউ মদ্যপান করিয়েছিলেন!

বিনোদন ডেস্ক

শ্রীদেবীর মৃত্যু ঘিরে গোড়া থেকেই ধোঁয়াশা ছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে বেশ কিছু প্রশ্ন ঘিরে ধরে চাঁদনির শেষযাত্রা। ফলে তা যতটা মসৃণ হওয়ার কথা ছিল, ততটা হতে পারেনি।

প্রথমত, স্বামী-মেয়ে ফিরে আসার পরও দুদিন দুবাইয়ের হোটেলে ছিলেন অভিনেত্রী। যদিও তিনি কী কারণে ছিলেন তা স্পষ্ট নয়। এদিকে শ্রীদেবীকে সারপ্রাইজ দিতেই নাকি ফের দুবাই যান বনি। স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আধ ঘণ্টা কথাবার্তাও হয়। তারপরই গোসল করতে যান শ্রীদেবী। বেশ খানিকক্ষণ বাথরুম থেকে না বেরনোয় সন্দেহ হয় বনির। পরে অভিনেত্রীর সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে। এরও বেশ কিছুক্ষণ পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। কেন এত দেরি করে পুলিশকে খবর দেওয়া হল সে প্রশ্নও উঠছে। এই প্রশ্নের মধ্যেই মৃত্যুর কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিচ্ছিল। আজ ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় জানা যায়, পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। যে সময় তাঁর মৃত্যু হয়, তাঁর রক্তে অ্যালকোহলও পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ মদ্যপ অবস্থাতেই বাথটবে পড়ে তাঁর মৃত্যু।

তাদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ভারতের সমাজবাদী পার্টির নেতা অমর সিংয়ের দাবি, শ্রীদেবী মদ্যপান করতেন না। আনুষ্ঠান ইত্যাদির ক্ষেত্রে ওয়াইন খেতেন বড়জোর। তাঁর এই দাবিতে ধোঁয়াশা আরও বেড়েছে। তাহলে অভিনেত্রীকে জোর করে কেউ মদ্যপান করিয়েছিলেন। যিনি জানতেন যে মদ্যপানের অভ্যাস না থাকায় বিপদে পড়তে পারতেন শ্রীদেবী। কিন্তু জেনেশুনে অভিনেত্রীকে কে বিপদের মুখে ঠেলে দিল? আর বাথটবে পড়ে গিয়ে উঠতেই বা পারলেন না কেন। ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ ও অমর সিংয়ের দাবিকে ঘিরে তাই নতুন ধোঁয়াশা।

এদিকে সোমবার ফের বনি কাপুরের সঙ্গে কথা বলল দুবাই পুলিশ। তদন্তভার দেওয়া হয়েছে দুবাইয়ের পাবলিক প্রসিকিউশনের উপর। স্থানীয় আইন মেনেই হবে তদন্ত। বনির বয়ান রেকর্ড করে পুরো ঘটনার পুনর্নিমাণও করা হতে পারে। শ্রীদেবীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে তবেই মরদেহ তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী দুবাই প্রশাসন। সেক্ষেত্রে আজ সোমবারও মৃতদেহ দেশে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

ad

পাঠকের মতামত