201504

মেয়েটির একটু আওয়াজে বখাটেদের কি অবস্থা দেখুন ভিডিওতে

সাম্প্রতিক কালে আমাদের দেশে একটি সামাজিক সমস্যা প্রবল ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সমস্যাটি হলো- ইভ-টিজিং। এটি একটি গুরততর সামাজিক ব্যাধিতে রদপ নিয়েছে। ইভ-টিজিং এর শিকার হয়ে দেশব্যাপী হত্যা-আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে।

Eve teasing বলতে নারীকে বিরক্ত করা অর্থে ব্যবহৃত হয়। ইয়ার্কি ঠাট্রার মাধ্যমে আমরা দাদি নানিকেও বিরক্ত করি। কিন্তু সেটা Eve teasing এর মধ্যে পড়ে না। বিরক্ত করার মধ্যে দিয়ে যদি কোন অনৈতিক প্রস্তাব, প্রেম ভালোবাসার প্রস্তাব, লোভ লালসার ইঙ্গিত, ভয় দেখিয়ে বা জিম্বি করে স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা, অবৈধ কাজে প্রলুব্ধ করা। Eve teasing যে কেবল টিন এজারের মধ্যেই ঘটে তা নয়। যে কোন মেয়ে বা নারী- যে বয়সের হোক না কেন, অন্য কোন পুরুষ কর্তৃক আপত্তিকর আচরণের শিকার হলেই তা Eve teasing।

সম্প্রতি Eve teasing নিয়ে একটি শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছেন সুস্ময় সুমন। শর্টফিল্মটিতে তিনি দেখিয়েছেন যে, একটি মেয়ের প্রতিবাদে বখাটেদের কি দশা হয়। শিক্ষণীয় এই শর্টফিল্মটি মুক্তি দেয় ইউটিউব চ্যানেল ইয়ুথ এন্টারটেইনমেন্ট বক্স। শর্টফিল্মটি তরুণ সমাজে ব্যাপক আলোচিত হয় এবং সর্বমহলের প্রশংসা অর্জন করে।

মানব জীবনের একটি গুরতত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর অধ্যায় হলো তারতণ্য। এটি এমন এক সময় যখন একজন ব্যত্তিু বয়স ও বুদ্ধি- এ উভয় দিক থেকে ত্রুমশ এগিয়ে যেতে থাকে বটে, তবে যথার্থ অর্থে বয়সী তথা প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধিমান হয়ে উঠে না। প্রাকৃতিকভাবে জীবনের এ সন্ধিক্ষণটি হয় স্বাপিণক ও কৌতুহলোদ্দীপক। এ সময়ে সে জানতে চায়, জানাতে চায়। জানতে ও জানাতে গিয়ে যদি বাধাগ্রসত হয় বা হোচট খায় তাহলে সে মূক ও বিমূঢ় হয়ে পড়ে, বিভ্রামিত তাকে অপরাধী করে তোলে, নিয়ে যায় সর্বনাশার অতল গহবরে।

অন্যদিকে যদি সে অবলীলায় জানতে পারে, জানাতে পারে, উত্তর পায়, মানসিক আশ্রয় ও অবলম্বন পায়, নৈতিক দীক্ষা ও প্রেরণা পায় তাহলে তার অগ্রগতি-অগ্রযাত্রাও হয়ে উঠে অনিবার্যভাবে সুন্দর, শাশ্বত ও সাবলীল।

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কোন মানুষই অপরাধী হয়ে জন্মায় না। পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নানাবিধ কারণে আবেগ ও পরিবেশের নেতিবাচক প্রভাবে মানুষ অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে।

সুতরাং ইভ-টিজাররা পেশাদার অপরাধীদের সঙ্গে কীভাবে যুত্তু হচ্ছে তা অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিকারমূলক ব্যবসহা গ্রহণ প্রয়োজন। এজন্য সবার আগে দরকার গ্রাম কিংবা শহর, পাড়া কিংবা মহল্লায় সর্বত্র ভাল পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষিত সজ্জন ও অভিভাবক শ্রেণীর সম্মিলিত প্রয়াস। অধ্যয়ন, সৃজনশীলতা এবং ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করাও জরতরী। পরিবার, সমাজ ও স্কুলের পরিবেশ হওয়া দরকার আনন্দময় ও প্রণোদনাপূর্ণ।

ad

পাঠকের মতামত