196562

৪০০ শিষ্যর অণ্ডকোষ কেটে সাধ্বীদের একাই ভোগ করত ধর্মগুরু!

গুরুতর অভিযোগ নৃশংস কাণ্ড। ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরুর গুরমিত রাম রহিম সিং জেলে। ডেরা সাচা সওদা প্রধান আশ্রমের ভিতরেই দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের সাজা ভোগ করছে। কিন্তু এবার তার বিরুদ্ধে উঠে গেল আরও গুরুতর অভিযোগ। আশ্রমের প্রায় ৪০০ জন ‘পুরুষ’ শিষ্যর যৌনক্ষমতা পাকাপাকিভাবে কেড়ে নেয় গুরমিত রাম রহিম।

কেটে ফেলে আশ্রমের প্রত্যেক শিষ্যর অণ্ডকোষ, এমনটাই অভিযোগ শিষ্যদের। পেপসির সঙ্গে মাদক মিশিয়ে সংজ্ঞাহীন করে চলত সার্জারি। এই অভিযোগে গুরমিত

রাম রহিমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা রুজু করল সিবিআই।

বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-এর অফিসাররা রাম রহিম ও তার দুই ‘ডাক্তার’ স্যাঙাতের বিরুদ্ধে পঞ্চকুলার বিশেষ আদালতে নয়া মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক পঙ্কজ গর্গ ও এমপি সিং-ই ৪০০ জনের অণ্ডকোষ কেটে ফেলার অপারেশন করে বলে জানিয়েছেন সিবিআই অফিসাররা।

এই ‘তিনমূর্তি’ আশ্রমের শিষ্যদের মধ্যে প্রচার করত, যৌনক্ষমতা হারালেই ঈশ্বরের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া যাবে। পুণ্য অর্জন হবে, হবে সিদ্ধিলাভও। যদিও তদন্তকারী অফিসাররা বলছেন, এসবই রাম রহিমের যৌন পিপাসার ফল। আশ্রমের সমস্ত কম বয়সী সাধ্বীদের একাই ভোগ করার লালসা ছিল রাম রহিমের। তাই সে চাইত না, আশ্রমে সে ছাড়া অন্য কোনও পুরুষ মানুষ থাক।

তাই সিরসার আশ্রমের ৪০০ জন শিষ্যর নির্বীজকরণের নির্দেশ দেয় রাম রহিম। এই ঘটনার তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেয় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট।

সিবিআই মুখপাত্র অভিষেক দয়াল বলছেন, ‘রাম রহিমের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০০ জন অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, তাঁদের ভুল বুঝিয়ে সার্জারি করানো হয়। বলা হয়, মিলনক্ষমতা হারালেই নাকি ঈশ্বরের কাছাকাছি আসা যাবে, হয়ে ওঠা যাবে রাম রহিমের বিশেষ ভক্ত। সেই লোভেই শিষ্যরা সার্জারি করান। কিন্তু এবার বাবার জারিজুরি ধরা পড়ে যাওয়ায় প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন ওই শিষ্যরা। ’

রাম রহিম ছাড়া এই নৃশংস কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত এমপি সিং ইতিমধ্যেই পঞ্চকুলায় দাঙ্গা ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে। ডেরা প্রধানের গ্রেপ্তারির কয়েক ঘণ্টা পরই তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।

২০০২-এ দু’টি ধর্ষণের মামলায় ২০১৭-র আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয় রাম রহিমকে। আগামী ২০ বছর তাকে জেলে কাটাতে হবে। তার গ্রেপ্তারির পরই রাম রহিমের পালিতা কন্যা হানিপ্রীতের প্ররোচনায় পঞ্চকুলা ও সিরসায় ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়। মারা যান অন্তত ৩০ জন মানুষ, আহত হন ২৫০ জনেরও বেশি।

ad

পাঠকের মতামত