196329

শিশু ছেলেকে রশিতে ঝুলিয়ে, শিশু কন্যাকে মেঝেতে রেখে নির্দয় ভাবে পেটাল বাবা

ফের নির্দয়ভাবে শিশুদের পেটালেন বাবা। বাচ্চা ছেলেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়ে চলল মারধর। সপাসপ কঞ্চি পড়তে লাগল পায়ে ও পিঠে। একইভাবে কঞ্চি এসে পড়ল মেঝেয় পড়ে থাকা শিশুকন্যার পিঠে, পায়ে। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ জারি হয়েছে। অভিযুক্তের নাম চেন সিং রাওয়াত। এদিকে বাচ্চা পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হতেই পলাতক অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের রাজসামন্দ জেলার দেওগড় এলাকায়।

অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দুই সন্তানকে নির্দয়ভাবে

মারধর করতেন চেন সিং। বিষয়টিতে অত্যন্ত বিরক্ত প্রতিবেশীরা। বারবার তাঁকে সতর্ক করেও কোনও লাভ হয়নি। উপায়ান্তর না দেখে প্রতিবেশীরাই মারধরের দৃশ্য লেন্সবন্দি করেন। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতেই বিষয়টি জানাজানি হয়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির বারান্দায় শিশুপুত্রকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিশুকন্যাটি মেঝেতে পড়ে আছে। দুজনকেই মারধর করছেন চেন সিং। তাঁর হাতে কঞ্চি। পালা করে একবার ছেলের পিযে, একবার মেয়ের পিঠে পড়ছে কঞ্চি। কঞ্চির ঘায়ে তারা কেঁপে কেঁপে উঠছে। মারের বহরে বিছানায় প্রস্রাবও করে ফেলে শিশুরা। ভিডিওটি দেখে আসরে নামেন জেলাশাসক পি সি বৈরওয়াল। তিনিই জেলা পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। যদিও পুলিশ খুঁজছে এই খবর পেয়েই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন চেন সিং। তবে খুব শিগগির তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে খবর।

অভিযুক্তের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ার পার্সন। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, গোটা ঘটনার প্রতি কড়া নজর রেখেছে কমিশন। মারধরের দৃশ্যের ভিডিওটি তুলে যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, তাঁকেও ছাড়া হবে না।

কয়েকদিন আগেই বেঙ্গালুরুতে মিথ্যে বলার অপরাধে শিশুপুত্রকে নির্দয়ভাবে মারধর করেছিলেন বাবা। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, শিশুপুত্রকে খাট থেকে মেঝেতে ছুড়ে ফেলছেন বাবা। বার বার বলছেন, ‘আর মিথ্যে বলবি’? সেই সঙ্গে মেঝেতে ফেলে চলছে দমাদ্দম লাথি। সেই সময় শিশুটির মা নিজের মোবাইলে ঘটনার ভিডিও করেন। পরে মোবাইল খারাপ হওয়ায় দোকানে সারাতে দেন। মোবাইলে থাকা ভিডিওর ব্যাকআপ রাখতে অনুরোধ করেন। মোবাইল সারাইকর্মীর সৌজন্য ভিডিওটি ভাইরাল হয়। অভিযু্ক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফের একই ঘটনা ঘটল রাজস্থানে।

ad

পাঠকের মতামত