195597

লোহাগাড়ার ওসিকে প্রত্যাহারে হাইকোর্টের নির্দেশ

পুলিশ হেফাজতে থাকা এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহানকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চারজনকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

দুই পুড়িয়া গাঁজা পাওয়ার অভিযোগে ৮ মাসের সাজাপ্রাপ্ত বেলাল উদ্দিন রিট আবেদনটি দায়ের করেন। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। ওই চারজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারজানা শারমিন ও আইনজীবী মকবুল আহমেদ।

এর আগে ফৌজদারি মামলায় ‘পুলিশ হেফাজতে থাকা’ ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার অভিযোগ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। লোহাগাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মাহবুব আলম, স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান ও ওই থানার এসআই হেলাল খান ও এএসআই ওয়াসিম মিয়াকে রবিবার আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

গত ১৪ জানুয়ারি লোহাগাড়ার ইউএনও, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম, ওসি মো. শাহজাহান, এসআই হেলাল খান ও ওয়াসিমকে তলব করেন হাইকোর্ট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার প্রথম দিন এবং আজ সোমবার তারা উপস্থিত হন।

জানা গেছে, গত বছরের ১৩ অক্টোবর রাত ৯টায় লোহাগাড়ার বেলাল নামের একজনকে আটক করা হয়। পরদিন একটি ফৌজদারি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশের জব্দ তালিকায় দেখা যায়, ১৩ অক্টোবর রাত ৯টায় বেলালের কাছ থেকে দুই পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।

পরে ইউএনও পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৪ অক্টোবর দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে দুই পুরিয়া গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় বেলালকে আট মাসের জেল দেন। এরপর ‘সাজানো’ ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন।

ad

পাঠকের মতামত