এবার মুখ খুললেন মেলানিয়া পর্নোতারকার সাথে ট্রাম্পের ‘প্রেমে’ প্রসঙ্গে
অনলাইন ডেস্ক : পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘প্রেমের’ জের ধরে ঘর ছেড়েছেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, এমন গুঞ্জন তোলে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম। অনেকে তো ধরেই বসেন, আবারো বুঝি ঘর ভাঙল ট্রাম্পের। তবে সব কানাকানি চাপা দিয়ে মুখ খুললেন ফার্স্ট লেডি নিজেই।
সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, ট্রাম্প দম্পতির সম্পর্কের টানাপোড়নের খবর প্রচারকারী সংবাদমাধ্যমগুলোর দিকে কঠোর বার্তা ছুঁড়ে দিয়েছেন মেলানিয়া।
সমালোচনা করে মেলানিয়ার মুখপাত্র স্টেফেনি গ্রিশাম জানান, পর্নোতারকার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ‘লাম্পট্যপূর্ণ ও সোজাসুজি ভাষায় মিথ্যা খবর’।
স্টেফেনি আরও বলেন, ‘তিনি (মেলানিয়া) তার পরিবার ও ফার্স্ট লেডি হিসেবে ভূমিকা পালনে যথেষ্ট সচেতন আছেন। বিভিন্ন ভুয়া খবরে যেসব গাল-গল্প ছড়ানো হচ্ছে তার কিছুই সত্য না।’
বর্তমানে ট্রাম্প ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক সামিটে’ যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের ডেভোস শহরে রয়েছেন। তবে তার সঙ্গে সফরে অংশ নেননি মেলানিয়া। ট্রাম্প-দম্পতির ১৩তম বিবাহবার্ষিকীর দিন সফরে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এ নিয়েও গুজব ওঠে বিভিন্ন মহলে। তবে হোয়াইট হাইউজার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘সময়সূচি না মেলার কারণেই’ সুইজারল্যান্ড যাননি মেলানিয়া।
এর আগে সংবাদমাধ্যম দ্য সান জানায়, সম্প্রতি পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রেমের অভিযোগ ওঠে। স্বামীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ একেবারেই ভালোভাবে নিতে পারেননি মেলানিয়া ট্রাম্প। তাই তিনি নাকি এক প্রকার এড়িয়েই চলছেন ট্রাম্পকে। হোয়াইট হাউস ছেড়ে মাঝে-মধ্যেই সময় কাটাচ্ছেন রাজধানী ওয়াশিংটনের একটি হোটেলে।
এদিকে মেলানিয়ার হোটেলে দিনযাপনের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের এক সূত্র সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে বলে, ‘জানুয়ারিতে মেলানিয়া সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন হোয়াইট হাউস থেকে দূরে থাকছেন এবং রাজধানীর একটি হোটেলে বসবাস করছেন। এর মধ্যে তিনি নিউইয়র্ক ভ্রমনেও গেছেন।’
ওই সূত্র আরও জানায়, ‘হোয়াইট হাউসের কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে স্বামীর সম্পর্কের খবর মেলানিয়াকে গভীরভাবে আঘাত করে। এটা তার জন্য বিব্রতকর ও অপমানজনক। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কে দূর্বল হয়ে পড়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্টর্মি ড্যানিয়েলসের আসল নাম স্টেফেনি ক্লিফোর্ড। ২০০৬ সালে এই পর্নোতারকার সঙ্গে প্রেমে মজেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এর কিছু আগেই মেলানিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় ট্রাম্পের। ২০১৬ সালে নির্বাচনের সময় ওই সম্পর্কের কথা চেপে রাখতে স্টেফেনিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক লাখ ৬০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করা হয় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে।
