জনবল নিয়োগ দিচ্ছে আনসার, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়া
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ৫ পদে ১৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্ধারিত জেলার প্রার্থীরা পদগুলোতে আবেদন করতে পারবেন। গত ৪, ৫ ও ৬ জানুয়ারি জাতীয় কয়েকটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। প্রার্থীরা কখন, কী ভাবে, পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবেন এবং কোন কোন বিষয়গুলো থেকে নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রশ্ন হতে পারে এমন বিষয় নিয়ে বিডি২৪লাইভের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল মহিউদ্দীন মোঃ জাবেদ এসইউপি, পিএসসি, জি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিডি২৪লাইভ’র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সাইফুল ইসলাম।
নিয়োগ পরীক্ষার জন্য কোন কমিটি গঠন করা হবে কি?
কর্নেল মহিউদ্দীন মো. জাবেদ: আমাদের পরীক্ষা আমরাই নিচ্ছি। আমরা ইতোপূর্বেও পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছি। সরকারি নিয়মে কমিটি গঠন করা হবে। আনসার বাহিনীর পক্ষ থেকে আমি সেই কমিটির চেয়ারম্যান। আমার সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রানালয়ের একজন করে প্রতিনিধি থাকবে। তাছাড়া পিএসসির একজন মেম্বার থাকবে। আবেদন পত্রের সাথে একটি রির্টান খাম রয়েছে। আবেদন বাছাই করার পরে পরীক্ষার তারিখ খামের মাধ্যমে তাদের কাছে পাঠানো হবে। লিখিত পরীক্ষা একই দিন একই সময়ে নেয়া হবে। যদি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশী হয় তবে একাধিক সেন্টারে পরীক্ষা নেয়া হবে। কমিটির সিদ্ধান্ত নিবেন কখন পরীক্ষা হবে।
নিয়োগ পরীক্ষাটি কয়টি ধাপে নেওয়া হবে?
কর্নেল মহিউদ্দীন মো. জাবেদ: পরীক্ষা হবে তিন ধাপে। লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা ও ব্যবহারিক পরীক্ষা। সাধারণ অনুর্ধ্ব এস.এস.সি’র সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন হয়ে থাকে। বিজ্ঞান, ব্যবসা ও মানবিক বিভাগ। সকল পরীক্ষার্থীর জন্য একই সিলেবাস। যাতে করে সবাই সমান সুযোগ পায়। জেএসসি থেকে এসএসসি লেভেল এর মধ্যে থেকে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।
লিখিত পরীক্ষা কোন কোন বিষয়ের উপরে হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
কর্নেল মহিউদ্দীন মো. জাবেদ: লিখিত পরীক্ষা ১০০ নম্বরের নেওয়া হতে পারে। যেখানে বাংলা, ইংরেজি, অংক ও সাধারণ জ্ঞান থাকবে। কমিটির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মানবন্টন করা হয়ে থাকে। মোট নম্বরের চার ভাগ করা হয়। কিছুটা কম বেশি হয়। লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে এমসিকিউ হতে পারে। বিশ্লেষনমূলক ব্যাখাও থাকতে পারে।
মৌখিক পরীক্ষায় কোন বিষয়ের উপর বেশি নজর দেওয়া হয়?
কর্নেল মহিউদ্দীন মো. জাবেদ: মৌখিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমরা পরীক্ষার্থীর গ্রুমিংটা ভালো ভাবে দেখি। তাছাড়া মনোভাব, আচরণ এবং পেশাদারি খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করি। প্রার্থীর পদ অনুযায়ী প্রশ্ন করে থাকি। যদি ড্রাইভার হয়, তার রোড সেন্স কী কী আছে? এই সর্ম্পকে তাকে প্রচুর প্রশ্ন করে থাকি। আমরা পরীক্ষার্থীকে তার পড়া বিষয়ায়িক প্রশ্ন করবো। যাতে করে তার শুধু ব্যবহারিক না, তার বুদ্ধিবৃত্তিটাও বুঝতে পারি। মৌখিক পরীক্ষা মানবন্টন কমিটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিব। সাধারণত এটা ১০০ নম্বরের পরীক্ষাতে ১০ কিংবা ১৫ নম্বরে থাকে।
ব্যবহারিক পরীক্ষাটি কী ভাবে নেওয়া হবে?
কর্নেল মহিউদ্দীন মো. জাবেদ: ব্যবহারিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমরা পরীক্ষার্থীর দক্ষতা পরীক্ষা করে থাকি। এটা পদ অনুযায়ী হয়ে থাকে। যেমন:- ড্রাইভারের ক্ষেত্রে আমরা ড্রাইভারের স্কেল, যে জিনিসগুলো আছে। ভালো ড্রাইভারের জন্য কিছু কিছু রেখাচিত্র আছে। সেই রেখা চিত্রের মাধ্যমে ড্রাইভিং করে আসতে পারে। সেইগুলো দেখে আমরা বুঝে থাকি সে যোগ্য কী না।
পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রার্থী আবেদনের পদ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তার কাছে রাখতে হবে। আবেদন সঠিক ভাবে করতে হবে, যাতে সে বাদ না পরে। পরীক্ষার জন্যে সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, অংক ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। লেখাপড়া করে আসলে ভালো করবে। আর আমরা ভালো ছেলেটাকেই গ্রহণ করবো।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:-
পদ: গাড়ীচালক পদসংখ্যা: ৪৯টি
যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী
বেতনস্কেল: ৯,৭০০/- ২৩,৪৯০/ টাকা (ভারী); ৯,৩০০/- ২২,৪৯০/ টাকা (হালকা)
পদ: অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদসংখ্যা: ৮৩টি
যোগ্যতা: এইচএসসি পাস, কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং নির্ধারিত টাইপিং স্পিড থাকতে হবে
বেতনস্কেল: ৯,৩০০/- ২২,৪৯০/ টাকা
পদ: নার্সিং সহকারী পদসংখ্যা: ১১টি
যোগ্যতা: এইচএসসি পাস, নার্সিং (ডিপ্লোমা) কোর্স সনদপ্রাপ্ত
বেতনস্কেল: ৯,৩০০/- ২২,৪৯০/ টাকা
পদ: আর্মোরার পদসংখ্যা: ২০টি
যোগ্যতা: এসএসসি পাস এবং তিন বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন
বেতনস্কেল: ৮,৫০০/- ২০,৫৭০/ টাকা
পদ: অফিস সহায়ক পদসংখ্যা: ২০টি
যোগ্যতা: এইচএসসি পাস এবং বাইসাইকেল চালনায় পারদর্শী হতে হবে
বেতনস্কেল: ৮,২৫০/- ২০,০১০/ টাকা
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে উপরোক্ত পদ গুলোতে আবেদন করতে পারেন।