194521

দাফনের ৯ মাস পর কিশোরীর লাশ উত্তোলন

নিউজ ডেস্ক : আত্মহত্যা নয়, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে মায়ের এমন অভিযোগে দাফনের ৯ মাস পর এক কিশোরীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মাগুরা শহরের কাউন্সিল পড়ার বাসিন্দা ইকবাল হোসেনের মেয়ে তাসনিম কলি (১৬) নামে ওই কিশোরী মাগুরা দুধমল্লিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে তার পরিবার।

সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম জানান, গত বছর ৩ এপ্রিল শহরের কাউন্সিল পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাসনিম কলি (১৬) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মা-বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে সে সময় ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন সম্পন্ন হয়। কিন্তু সম্প্রতি ওই কিশোরীর মা হোসনে আরা বেগম তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এমন অভিযোগে মাগুরা সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোনের আদেশ দেন। এ আদেশের প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরীর উপস্থিতিতে বুধবার দুপুরে মাগুরা পৌর কবরস্থান থেকে ওই কিশোরীর লাশ উত্তোলন করা হয়।

ওই কিশোরীর মা হোসনে আরা বেগম অভিযোগ করেন, তিনি অন্যর বাসা বাড়িতে কাজ করেন। স্বামী অটোচালক। ঘটনার সময় তার মেয়ে কলি একা বাসায় ছিল। তিনি লাশ দেখে কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি চক্র মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালিয়ে তড়িঘড়ি করে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন সম্পন্ন করে। ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া থাকলেও উদ্ধারের সময় দেখা গেছে চেয়ারের উপর বসা অবস্থায় তার মেয়ে লাশ রয়েছে। ভাড়া বাসার মালিকের কেয়ারটেকার আজাদ ও সবুজ নামে অপর এক যুবক তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। একাজে তাদের সহযোগিতা করেছে প্রতিবেশী বিউটি ও সুফিয়া নামে প্রতিবেশী দুই নারী। যে কারণে তিনি কবর থেকে লাশ উত্তোল করে ময়না তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আদালতে মামলা করেছেন।

মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, ময়না তদন্তর জন্য আদালতের নির্দেশে তাসনিম কলির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত