194494

তারা নাছোড়বান্দা, তারা দীঘিকেই চাই!

বিনোদন ডেস্ক ।।

ছোট্ট দিঘী। মুঠোফোন সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের ‘বাবা জানো আমাদের একটা ময়না পাখি আছে না’ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শোবিজে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘কাবুলিওয়ালা’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। ওই ছবিতে নায়ক মান্নার সঙ্গে অনবদ্য অভিনয় করে দিঘী পেয়ে যান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার। এরপর দিঘীকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

ধীরে ধীরে ছোট্ট দিঘী বড় হতে থাকেন। বাড়তে থাকে তার দর্শকপ্রিয়তা। ২০১১ সালে দিঘীর মা মারা যান। তার পর অনেকটা আড়ালে চলে যান তিনি। মনোযোগ দেন লেখাপড়ায়। প্রায় দুই বছরের বেশি সময় দিঘী চলচ্চিত্র থেকে দূরে রয়েছেন। এখন সে শুধুই লেখাপড়া করছে। ডেইলি বাংলাদেশকে জানিয়েছেন এমনটাই দিঘীর বাবা চলচ্চিত্র অভিনেতা সুব্রত।

সুব্রত বলেন, দিঘী এখন স্টামফোর্ড স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ছে। আগামী বছর মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেবে। তার আগে দিঘী কোনো কাজ করছে না। তার ইচ্ছে আছে সে সিনেমায় অভিনয় করবে। বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করতে চায়। তবে তা আরো দু’বছর পর। একবছর পর দিঘীর এসএসসি পরীক্ষা। তারপর আরো একবছর দিঘী অভিনয়ের প্রস্তুতি নেবে। এরপর কাজ শুরু করবে। এমনটাই জানালেন দীঘির বাবা।

কিন্তু দু-বছর পর নয়, এখনই দিঘীকে চলচ্চিত্রে আনার জন্য তার পিছনে ধর্ণা দিচ্ছেন অনেক পরিচালক-প্রযোজক। সুব্রত বলেন, প্রযোজক-পরিচালকরা নাছোড়বান্দা! তারা চাচ্ছেন এখনই দিঘী চলচ্চিত্রে আসুক। তাকে নিয়ে নতুন করে ছবি বানাতে চায় অনেকেই। পরিচালক ও প্রযোজক মিলে আমাকে ধরেছে। দুই বছর অপেক্ষা করবেন। কিন্তু আগেই চুক্তিপত্রে দিঘীকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে রাখতে চাচ্ছেন তারা।

দিঘীর বাবা সুব্রত আরো বলেন, এমন সব জায়গা থেকে কাজের ফোন আসছে, যাদের সরাসরি না বলার ক্ষমতা আমার নেই। তারপরও ইনিয়ে-বিনিয়ে ‘না’ বলতে হচ্ছে। সবার কাছে দোয়া চাই আমার মেয়েটা যেন ভালভাবে লেখাপড়া করতে পারে। ওর মায়ের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার বানাবে। সেই স্বপ্ন যেন পূরণ হয়।

মনোয়ার হোসেন ডিপজলের হাত ধরে ‘চাচ্চু’ ছবিতে অভিনয় করে দিঘী তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। সেই জনপ্রিয়তার সুবাদে ‘দাদীমা’, ‘১ টাকার বউ’, ‘বাবা আমার বাবা’, ‘অবুজ শিশু’, ‘দ্য স্পিড’, ‘রিক্সাওয়ালার ছেলে’ ইত্যাদি ছবিগুলোতে সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করেন তিনি।

ad

পাঠকের মতামত