এত বড় ধোঁকা! প্রেমিকার জন্য চোর হয়েও কপাল চাপড়াচ্ছেন প্রেমিক
প্রেমিকা না মরীচিকা…
এখন হয়তো এই ভেবেই হাত কামড়াচ্ছেন বছর বাইশের রমেশ।
ঘর ছেড়ে, চুরি করে, জরিমানা দিয়ে যাঁর জন্য নিজেকে সব অর্থেই ‘উজাড়’ করে দিলেন রমেশ, সেই কি না পরপুরুষের হাত ধরে পালালো!
এমন ধাক্কা খাওয়ার পরে যে কোনও প্রেমিকেরই বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু রমেশের যন্ত্রণার অবশ্য এখানেই শেষ নয়। কারণ প্রেমিকার জন্য পরের পর বাইক চুরি করে আপাতত জেলের ঘানি টানছে সে।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী,
ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের উদয়পুরে। বাইশ বছরের রমেশ বছরখানেক আগে এক মহিলার প্রেমে পড়েন। কিন্তু প্রেমে তো বাধা আসবেই। না হলে সিনেমার মতো বাস্তবেও প্রেম ঠিক জমে না!
এখানেও তাই হল। প্রেমিকাকে নিয়ে রমেশ পালিয়ে যেতেই ওই মহিলার পরিবার স্থানীয় পঞ্চায়েতে রমেশের নামে নালিশ ঠুকে দেয়। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির মেয়ে নিয়ে রমেশ পালানোয় পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে। অভিযোগের স্বপক্ষে রায় দিয়ে প্রেমিকার পরিবারকে চল্লিশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় পঞ্চায়েত।
প্রেমিকার জন্য মুখ বুজে সেই শাস্তিও মাথা পেতে নেন রমেশ। কিন্তু জরিমানার টাকা আসবে কোথা থেকে? প্রেমিক রমেশ দমবার পাত্র নন। জরিমানার টাকা জোগাড় করার জন্য বাইক চুরিতে হাত পাকান তিনি। হয়তো ভেবেছিলেন, সিনেমার নায়কের মতোই জরিমানার টাকা প্রেমিকার বাড়ির লোকের মুখের উপরে ছুড়ে মারবেন!
কিন্তু এর পরেই সব থেকে বড় ধাক্কা খেতে হল রমেশকে। একের পরে এক বাইক চুরি করে যখন সে একটু একটু করে জরিমানার টাকা জমাচ্ছে, তখনই অন্য এক পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যান তাঁর সেই প্রেমিকা!
প্রেমিকা পালানোর শোক কাটার আগেই রমেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার একটি চেকপোস্ট থেকে দুই সঙ্গী-সহ রমেশকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি জেরাতেই নিজের প্রেমকাহিনি জানিয়েছেন রমেশ।
অভিযোগ, যে দু’জনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গত কয়েকমাসে প্রায় পঞ্চাশটি বাইক চুরি করেছেন রমেশ, তাদের মধ্যে একজন কুখ্যাত চোর। ধৃতদের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই চুরি যাওয়া এক ডজন বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বাইক চুরি করে সেগুলির যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে দেওয়া হত।
জেলে বসে রমেশ নিশ্চয় ভাবছেন, ‘‘যার জন্য চুরি করি, সেই কি না…’’
