194236

উর্ধ্বতন মহিলা আফিসারের সাথে পরকীয়া, হাতেনাতে ধরা স্বামীর কাছে, এরপর..

চুরি বিদ্যা নাকি মহাবিদ্যা। অবশ্যই যদি কারও চোখে ধরা না পড়ে যায়। কিন্তু হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন দুই পুলিশকর্মীই। পুলিশের অন্দরমহলের এই পরকীয়া প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হায়দরাবাদে।

অধস্তন সহকর্মী মল্লিকার্জুন রেড্ডির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে হায়দরাবাদ পুলিশের অ্যান্টি-কোরাপশন ব্যুরোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুনীতা রেড্ডির। স্ত্রীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছেন সুরেন্দের রেড্ডি। কাজের জন্য বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতে হয় সুরেন্দরকে।

তাঁর অভিযোগ, এই সুযোগেই উর্ধ্বতন অফিসারের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইনস্পেক্টর মল্লিকার্জুন। সুনীতাকে এ পথে টেনে নিয়ে গিয়েছেন তিনিই। এ নিয়ে আগেও তাঁর সঙ্গে দু’জনের সঙ্গে কথা হয়েছিল। দু’জনকেই সাবধান করেছিলেন সুরেন্দর। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। বরং দুই অভিযুক্ত দাবি করেন তাঁদের মধ্যে কোনও অবৈধ সম্পর্ক নেই।

সম্প্রতি সুরেন্দর জানতে পারেন, মল্লিকার্জুন-সুনীতার সঙ্গে তাঁরই বাড়িতে রাত কাটাচ্ছেন। নিজের পরিবারের সদস্য ও সুনীতার মাকে নিয়ে বাড়ির দিকে যান তিনি। রাত আড়াইটে নাগাদ মল্লিকার্জুনকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়। হাতেনাতে তাঁকে ধরে ফেলেন সুরেন্দর। মল্লিকার্জুনকে মারধরও করা হয়। শোনা গিয়েছে, সুনীতার মা নাকি চপ্পল দিয়েও মারেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে। স্ত্রীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুরেন্দর। তিনি জানান, সুনীতাকেও ডিভোর্স দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। যাতে নিজের ও মল্লিকার্জুনের সম্পর্ককে তিনি বৈধতা দিতে পারেন। কিন্তু মল্লিকার্জুনেরও আলাদা সংসার রয়েছে। স্ত্রী-সন্তানও রয়েছে। তাই এমনটা তারা চায়নি। তবে সুরেন্দর এ সম্পর্ক থেকে নিষ্কৃতি চান। চান নতুন করে নিজের জীবন শুরু করতে। অবশ্য স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি হায়দরাবাদের বাসিন্দা।

ad

পাঠকের মতামত