190771

মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত-পা বেঁধে অভিভাবককে পেটালেন শিক্ষকরা! (ভিডিও)

সন্তানের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়া ,পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বৃদ্ধির কারণ জানতে চাওয়ায় এক অভিভাবকের হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (০৭ জানুয়ারি) সকালে আয়াত উল্লাহ নামে ওই অভিভাবকের ওপর খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক এবং তাদের অনুসারীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

হাত-পা বেঁধে মারধরের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় তোলপাড় চলছে। ঘটনায় জতিড়দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে স্থানীয়রা।

প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্র জানায়, নির্যাতনে শিকার আয়াত উল্লাহর ছেলে শাহরিয়ার নাফিস আবির খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। সে প্রথম শ্রেণিতে ‘এ প্লাস’ না পাওয়ার বিষয়ে জানতে সকালে স্কুলের প্রধানশিক্ষক বোরহান উদ্দিনের কাছে যায় আয়াত উল্লাহ। একই সময় পূর্বঘোষণা ছাড়াই ভর্তি ও মাসিক কেন বাড়ানো হয়েছে বিষয়টিও জানতে চান তিনি। এ নিয়ে বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।

এ সময়ে পার্শ্ববর্তী খরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হককে ডাক দেয় বোরহান। শুরু হয় ত্রি-মুখী তর্ক-বিতর্ক। ঘটনাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় ওই দুই শিক্ষক মিলে তাকে মারতে মারতে মাটিতে ফেল দেয়। পরে রশি দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী কাসেম বলেন, আয়াত উল্লাহকে এমনভাবে মারা হচ্ছে যেন তিনি একজন বড় সন্ত্রাসী। মধ্যযুগীয় কায়দায় তাকে নির্যাতন করা হলেও কোনো শিক্ষক তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। পরে তার চিৎকার শুনে স্কুলের আঙ্গিনায় গিয়ে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে। উৎস: বাংলানিউজ

 

ad

পাঠকের মতামত