মুসলমানদের আকীকা যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ
নবজাতকের জন্মের পর অনেক মুসলিম বাবা-মায়েরই প্রধান প্রশ্ন থাকে সন্তানের আকীকা নিয়ে। নামাজ, রোজা বা যাকাতের মতো আকীকা ফরজ না হলেও মুসলমানদের জন্য আকীকা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। সন্তানের ভবিষ্যত সুরক্ষায় ও মুসলমান হিসেবে নবী রাসূল (সাঃ)-এর অনুসারী হতে হলে আকীকা করা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়।
ইসলামে আকীকা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কারও কারও মতে এটি ওয়াজিব। মহানবীর (সাঃ) হাদিসের নির্দেশনাগুলো থেকে বোঝা যায়, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাহ।
আকীকার ফজিলত অনেক। নতুন প্রাণের বিনিময় হিসেবে এই আকিকা দেওয়া হয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, এই আকীকার মাধ্যমে নবজাতকের উপর থেকে সব বালা-মুসিবত উঠিয়ে নেন।
আম হাদীসে আছে, যতক্ষণ পর্যন্ত আকীকা না করা হয়, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘নবজাতক সেখানে আবদ্ধ থেকে যায়।’
অর্থাৎ ধর্মীয়ভাবে নবজাতকের দায়মুক্তি ঘটে না। তাই এই কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফজিলত রয়েছে- এই মর্মে অনেক হাদিস রয়েছে।
আকীকার মাধ্যমে গরীব, দুঃখি ও পাড়া প্রতিবেশীকে মাংস দান করতে হয়। এরমাধ্যমে তারাও শিশুর জন্য দোয়া করে, যা তার জন্য সুফল বয়ে আনে এবং এতে করে শয়তানের কুদৃষ্টি থেকে সে রক্ষা পায়।
সামাজিকভাবেও এই সুন্নত পালনের মাধ্যমে নবজাতকের সঙ্গে সবার পরিচয় হয়, সেও সমাজের একজন মুসলমান সদস্য হিসেবে পরিগণিত হয়।
সাধালনত জন্মের সাত দিনের মাথাতেই আকীকা দেওয়ার নিয়ম। তবে জঅবনের যে কোনো সময় আকীকা করা যায়। কোনো ব্যক্তি শিশুকালে আকীকা না পেলে নিজেও নিজের আকীকা করতে পারেন। তবে যত দ্রুত সম্ভব, এই সুন্নত তত দ্রুত করাটাই সন্তানের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।