ইতিহাসের সাক্ষী ৫০০ বছরের তেঁতুল গাছ
ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলন ও সাঁওতাল বিদ্রোহখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি প্রাচীন তেঁতুল গাছ।
কেউ বলেন, ৭০০ বছর আবার কেউ বলেন প্রায় ৮০০ বছর বয়স এ তেঁতুল গাছের। তবে, কৃষি বিভাগ বলছে ৫শ বছর। বয়স তার যাই হোক এটিই যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সবচেয়ে পুরাতন বৃক্ষ তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আর তেঁতুল জাতের বিবেচনায় দাবি করা যেতে পারে এটিই দেশের প্রাচীন তেঁতুল বৃক্ষ। এলাকাবাসীর বর্ণনা আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ধারণা তাই বলে।
দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে নাচোল উপজেলার বরেন্দ্র ভূমির মাঝে এক সময়ের জমিদার এলাকা সুরলা গ্রামে দাঁড়িয়ে আছে এ তেঁতুল গাছ।
প্রায় ৩৮ বছর আগে প্রচণ্ড ঝড়ে বৃক্ষটির সবচেয়ে বড় ডালটি ভেঙে পড়লেও মাথা নোয়ায়নি। পূর্বের জমিদার এলাকা সুরলার আদিবাসীদের নির্যাতন, অত্যাচার আর আঘাতে মাথা নুইয়ে গেলেও আজও তারা তেঁতুল বৃক্ষটি নিয়ে গর্ব করে।
আদিবাসীসহ এলাকার শত শত মানুষের গর্ব এ তেঁতুল বৃক্ষসহ ওই এলাকার দেবস্থান আত্মসাৎ করার জন্য চক্রান্তও হয়েছে। তবে ভৌতিক, জৈবিক, সামাজিক ও পরিবেশগত দিক থেকে বৃক্ষটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হওয়ায় সর্বশেষ প্রশাসনিক উদ্যোগ চক্রান্তকারীদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেয়নি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বৃৃক্ষটির চারদিক পাকা করে বাঁধানো হয়েছে।
সুরলা এলাকায় সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে, প্রাচীন তেঁতুল বৃক্ষটিকে নিয়ে নানান কথা। স্থানীয়রা জানায়, আমরা বংশ পরম্পরায় দেখে আসছি প্রাচীন এ তেঁতুল গাছটি।
ওই গাছের পাশেই বসবাস করে কল্পনা পরামানিক। ২ ছেলে ও স্বামী নিয়ে তার সংসার। নিজের ঘর-বাড়ির মতই তিনি গাছের নিচ পরম মমতায় প্রতিদিন পরিষ্কার করেন।