এই বাড়িতে যারা ঢুকেছে, কেউ বেঁচে ফিরেনি,কারণটি জানলে আপনিও ভয় পাবেন
এই বাড়িতে যারা ঢুকেছে, কেউ বেঁচে ফিরেনি,এর পিছনের কারণটি জানলে আপনিও ভয় পাবেন- ছবিটা একটু দেখুন তো! ভাল করে কিন্তু! এত কিছু ভাঙাচোরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে চারধারে! বাড়িটারও বেশ বেহাল দশা! সব চেয়ে জরাজীর্ণ কিন্তু গাড়িবারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটা।
তাও গাড়িটা এখনও পড়ে রয়েছে ওখানে। বাড়িতে যখন বাসিন্দারা থাকতেন, তখন যে ভাবে দাঁড়িয়ে থাকত, ঠিক সে ভাবেই! আসলে ভারতের বেঙ্গালুরুর সেন্ট মার্ক রোডের এই বাড়ি থেকে একটা জিনিসও সরানো যায় না। তা সে যতই ভাঙাচোরা হোক! যারা এই বাড়ি ঢুকে সরাবার চেষ্টা করেছেন, কেউ বেঁচে থাকেননি!
শোনা যায়, টেরা ভেরা নামের এই বাড়ি তৈরি হয়েছিল এক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান পরিবারের হাতে। ১৯৪৩ সালে এই বাড়ি বানিয়েছিলেন উকিল এজ ভাজ। তাঁর অবর্তমানে বাড়ির মালিকানা যায় দুই অবিবাহিতা বোন ভেরা আর দোলসে-র হাতে।
ভেরা একটি স্কুলে ইংরেজি পড়াতেন। আর ছোট বোন দোলসের নেশা আর পেশা, দুই-ই ছিল পিয়ানো। দোলসেও ছিলেন দিদির মতো স্কুলশিক্ষিকা। তবে তিনি পড়াতেন না, পিয়ানো বাজানো শেখাতেন।
এ। ভাবেই সময় যায় সময়ের পিঠে। বয়স হয়ে আসে দুই বোনের। এবং, ঘনিয়ে আসে সেই মর্মান্তিক মুহূর্ত। সাল ২০০২! অভ্যেস মতো সেই রাতেও নিজেদের বাড়িতেই ছিলেন দুই বোন। খেয়ে-দেয়ে ঘুমোতে গিয়েছিলেন যে যার নিজের ঘরে। গাড়িবারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল গাড়িটাও!
হঠাৎই রাতের নীরবতাকে তছনছ করে দরজা ভেঙে এক যুবক ঢুকে আসে বাড়িতে। ঢুকেই পর পর গুলি চালায় দোলসেকে লক্ষ্য করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দোলসের! ঠিক কী কারণে এই যুবক দোলসেকে হত্যা করেন, তা এখনও জানা যায়নি। অনুমান করা হয়, তার মাথার ঠিক ছিল না!
এই ঘটনার পরে পুলিশ কিন্তু ওই বাড়িতে থাকার অনুমতি দেয়নি বড় বোন ভেরাকে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যায়। আর, দোলসেকে কবর দেওয়া হয় ওই বাড়ির বাগানেই।
আসবাব, ফাঁকা বাড়ি, গাড়িবারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির সঙ্গে মাটির নিচে অনাদরে শুয়ে থাকেন দোলসে! সেই শুরু! তার পর থেকে অনেকেই ওই বাড়িতে, গভীর রাতে শুনেছেন পিয়ানোর টুং-টাং!
শুনেছেন ফাঁকা ঘরে কারও চলাফেরার আওয়াজ! কেউ যেন পা টেনে টেনে হাঁটছেন! ঠিক যে ভাবে হাঁটতেন দোলসে! কখনও বা আবার হঠাৎ হঠাৎ জ্বলে ওঠে গাড়ির হেডলাইট! কোনও কারণ না থাকা সত্ত্বেও! বলাই বাহুল্য, এই সব শুনে যথেষ্ট মর্মাহত হয়েছিলেন ভেরা।
তিনি তখন এই বাড়ি থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে চান! কিন্তু, তা সম্ভব হয়নি! যারা জিনিসপত্র নিয়ে যেতে এসেছিলেন, তারা প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। তার পর থেকে আর টেরা ভেরা-র একটা জিনিসও থেকে সরানো হয়নি।
গাড়িটাকেও নয়। দোলসের জিনিস তাঁর সঙ্গেই থেকে গিয়েছে ওই বাড়িতে। শুধু যে ওই বাড়ির জিনিস সরানো যায় না, তাই নয়! পাশাপাশি, এই বাড়ির ভিতরে কোনও ছবিও তোলা যায় না। যাঁরা চেষ্টা করেছেন, দেখেছেন ছবি ঝাপসা এসেছে! নয় তো ব্যাটারি পুড়ে গিয়েছে, ক্যামেরা গিয়েছে খারাপ হয়ে!
আপনি কি ওই বাড়িটায় একবার ঢুঁ মারার কথা ভাবছেন? থাক না! শুধু শুধু কেন বিরক্ত করবেন এক মৃতা মহিলাকে?