হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সু-সংবাদদাতা ছিলেন হজরত ঈসা (আ.)
পৃথিবীর সকল নবী রাসূলই মহান আল্লাহর বান্দা। দাস। তবে তাদেরকে সম্মানিত করেছেন বিশেষভাবে। ব্যত্যয় ঘটেনি হজরত ঈসা (আ.)-এর ক্ষেত্রেও। তিনিও ছিলেন মহান আল্লাহর একজন বান্দা ও নবী। তিনি আগের সব নবী এবং আসমানি কিতাবের সত্যায়নকারী এবং সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের সুসংবাদদাতা। আল্লাহর কুদরতে পৈতৃক সম্পর্ক ছাড়াই কুমারী মায়ের গর্ভে তার জন্ম হয়। হজরত ঈসা (আ.)-এর ওপর নাজিল হয় আসমানি কিতাব ইঞ্জিল শরিফ।
পবিত্র কোরআনের সুরা আস-সফের ৬ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে : ‘হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম হবে আহমাদ।’
পবিত্র কোরআনে সূরা মারইয়ামে হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্ম সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আল্লাহ মরিয়মের কাছে জিবরাইল ফেরেশতাকে পাঠান। মানুষের রূপ ধারণ করে তিনি তার সামনে আত্মপ্রকাশ করেন। জিবরাইল মরিয়মকে বলেন, তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য আল্লাহ আমাকে পাঠিয়েছেন। মরিয়ম ফেরেশতাকে বলেন, কেমন করে আমার পুত্র হবে আমাকে তো কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি। আমি ব্যভিচারিণীও নই। জিবরাইল ফেরেশতা বলেন, আল্লাহর কাছে সব কিছুই সহজসাধ্য। কুমারী নারীর গর্ভে পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়াই সন্তান জন্মদান মানুষের জন্য এক নিদর্শন। এটি আল্লাহ প্রদত্ত অনুগ্রহ এবং স্থিরিকৃত বিষয়। হজরত ঈসা (আ.) ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মরিয়ম তার সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থিত হলেন।
তারা কুমারীর মাতৃত্ব লাভকে সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখল এবং বলল তোমার পিতা-মাতা অসৎ কিংবা ব্যভিচারী ছিল না, তুমি এ কোন অদ্ভুত কা- ঘটালে? চারদিকের তীব্র বাক্যবাণে বিপর্যস্ত মরিয়ম তার সম্প্রদায়ের লোকদের বলল, তোমরা এ শিশুর কাছে জিজ্ঞাসা কর কেন অদ্ভুত কা- ঘটল। শিশু হজরত ঈসা (আ.) মরিয়ম সম্প্রদায়ের সব জিজ্ঞাসার জবাব দেন। পবিত্র কোরআনে হজরত ঈসা (আ.)-এর অলৌকিকভাবে জন্ম সম্পর্কে বলা হয়েছেÑ ‘সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কাজ নহে’ তিনি পবিত্র মহিমাময়। তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন বলেন, ‘হও’ এবং উহা হইয়া যায়। (সূরা মারইয়াম, আয়াত ৩৫)