জানেন কি? জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের নায়িকা হয়ে উঠার গল্পটি!
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। যদিও ছবি দেখতে পছন্দ করতেন কিন্তু তা ছিল অন্য ১০টা মেয়ের মতো। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রয়াত এহতেশামের সঙ্গে পরিচয় ছিল শাবনূরের বাবার। সেই সুবাদে শাবনূরদের বাসায় যাতায়াত ছিল এই চিত্রনির্মাতার।
শাবনূরের প্রকৃত নাম নূপুর। ১৯৯৩ সালে নূপুরকে দেখে পছন্দ করে ফেলেন এহতেশাম। তিনি তার নির্মিতব্য ‘চাঁদনী রাতে’ ছবিতে নায়িকা করতে চান নূপুরকে। রাজি করান তার বাবাকে। বাবার কথায় সায় দেন নূপুর।
নূপুর দাদু বলে ডাকতেন এহতেশামকে। আর দাদুর হাত ধরে চলে আসেন রুপালি জগতে। দাদু এহতেশাম তার ফিল্মি নাম দেন শাবনূর। এই নামের অর্থ হলো রাতের আলো।
ব্যস, উবে যায় নূপুরের পাইলট হওয়ার স্বপ্ন। শাবনূর হয়ে তিনি আলো ছড়াতে থাকেন রুপালি পর্দায়। দর্শকও তাকে সাদরে গ্রহণ করে নেন।
চলচ্চিত্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাবেন এমনটা কখনই ভাবেননি শাবনূর। স্বপ্ন ছিল আকাশে উড়ার। সেই স্বপ্ন বুঝি স্বপ্নই রয়ে গেলে। আর পাইলট হয়ে উঠা হল না চিত্রনায়িকা শাবনূরের। কথা আছে ‘ভাগ্যের লিখন না যায় খণ্ডন’।
১৭ ডিসেম্বর এই নায়িকা তার জন্মদিনে এভাবেই জানালেন তার পাইলট হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ ও একজন নায়িকা হয়ে ওঠার গল্প। তার কথায় কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারবে না আগামীতে তিনি কী হবেন বা কী করবেন। সবই হয় বিধাতার ইচ্ছায়।