
৭৬টি সেলফি মৃত্যু নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারত, দ্বিতীয় পাকিস্তান!
স্মার্টফোনের যুগে সেলফি না হলে কি হয়! তবে এই সেলফি হয়ে উঠছে প্রাণঘাতি। মনস্তত্ত্ববিদরা ইতিমধ্যে একে ‘মানসিক রোগ’ হিসেবেও চিহ্নিত করতে শুরু করেছেন।
‘কিলফি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই প্রাণঘাতি সেলফিতে আরেকটা কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছে। সেলফি মৃত্যুতে প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত আর পাকিস্তান।
এখন পর্যন্ত ৭৬টি সেলফি মৃত্যু নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারত। আর নয়টি সেলফি মৃত্যু নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান।
জনসংখ্যায় ভারতের চেয়ে চারগুণ পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেলফি মৃত্যু হয়েছে আটজনের। ছয় সেলফি মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাশিয়া। আর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনে সেলফি মৃত্যু হয়েছে চারজনের।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটি এবং দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি’র ‘মি, মাইসেল্ফ অ্যান্ড মাই কিলফি: কারেক্টারাইজিং অ্যান্ড প্রিভেন্টিং সেলফি ডেথ’ শীর্ষক এক যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে আসে।
এতে বলা হয়, সেলফি তুলতে গিয়ে গত দুই বছরে সারা বিশ্বে যত মানুষ মারা গেছে, তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ভারতে।
ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ সার্চ কৌশল প্রয়োগ করে ২০১৪ সাল থেকে সেলফি তুলতে গিয়ে ১২৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গবেষণা পত্রে বলা হয়, ২০১৪ সালে মার্চে প্রথম সেলফি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই বছর ১৫ জন, ২০১৫ সালে ৩৯ জন এবং ২০১৬ সালের প্রথম আট মাসে ৭৩ জন সেলফি তুলতে গিয়ে মারা যান।
তবে গবেষকরা ব্লগে জানিয়েছেন, সেলফি মৃত্যুর জন্য ভয়াবহ বছর ছিল ২০১৫ সাল। ওই বছর সারা বিশ্বে যত মানুষ হাঙ্গরের আক্রমণে মারা গেছেন, তার চেয়ে বেশি মারা গেছেন সেলফি তুলতে গিয়ে।
দেখা গেছে, বেশি বেশি ‘লাইক’ আর ‘কমেন্ট’ পেতে অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ সেলফি তোলেন। এর এসব ঝুকিপূর্ণ সেলফি তুলতে গিয়েই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
ভারতে চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। আরেকজন সেলফি তুলতে গিয়ে পা ফসকে গিরিখাতে পড়ে মারা যান। তাজমহলে সেলফি তুলতে গিয়ে পা ফসকে মারা যান এক জাপানি পর্যটক।