‘আমি পড়তে চাই, কিন্তু ফিরলেই বেচে দেবে মা’
ভারতের ইংরেজবাজার শহরে ভাড়া বাড়িতে দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকতেন এক মহিলা। মহিলার স্বামী উপার্জনের জন্য বাইরে থাকতেন। আর এই সুযোগেই নিজের মেয়েকে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করাতে চেয়েছিলেন তিনি।
বুধবার মেয়েটি মালদহের ইংরেজবাজার শহরের এক স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসে। পরীক্ষা দেয়ার সময় ভালই ছিল কিন্তু পরীক্ষা শেষে বাসার যাবার জন্য বাইরে বের হয়ে মাকে দেখেই, দৌঁড়ে স্কুলের ভেতরে চলে যায়। স্কুলের ভেতরে শিক্ষিকাদের কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীটি। আর বলতে থাকে, ‘বাড়ি ফিরলেই বিক্রি করে দেবে মা। আমাকে বাঁচান। আমি পড়াশোনা করতে চাই ম্যাডাম।’ছাত্রীর মুখে এমনই আর্তি শুনে হতবাক হয়ে যান স্কুলের শিক্ষিকারা। শেষ পর্যন্ত তাদের তৎপরতাতেই পুলিশ এসে গ্রেফতার করে ছাত্রীর মাকে।
ওই ছাত্রী বলে, ‘মা ফোনে কাউকে জানাচ্ছিল আমাকে বিক্রি করে দেবে। খারাপ কাজ করানোর জন্য মা আমাকে চাপ দিত। আমি আর মায়ের সঙ্গে থাকতে চাই না। আমি পড়াশোনা করতে চাই।’
এদিকে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ছাত্রীর মা দাবি করেন, ‘মেয়ে রাগ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তাই তাকে নেওয়ার জন্য স্কুলে গিয়েছিলাম।’
প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘ছুটির পর আচমকাই কাঁদতে শুরু করে ও। ওর অভিযোগ শুনে আর দেরি না করে পুলিশকে জানাই। মেয়েটির সাহসকে কুর্নিশ জানাতে চাই।’
এ ঘটনায় ভারতীয় পুলিশ জানায়, ওই মহিলার কথায় অসঙ্গতি রয়েছে। অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে তার যোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনের কল লিস্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হবে তাকে।
সূত্র:এবিপি আনন্দ
