183204

ধরা পড়ল স্ত্রী’র গোপন সম্পর্ক, বিষাক্ত সাপ নিয়ে মারাত্মক কাণ্ড যুবকের

তিনি সর্প বিশেষজ্ঞ। সাপ নিয়েই দিনরাত কাটে তাঁর। শেষ পর্যন্ত সাপের কামড় খেয়েই আত্মহত্যা করলেন তিনি! আর সেই আত্মহত্যার পুরোটাই তিনি ফেসবুকে লাইভ করলেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মে প্রকাশিত সংবাদের সূত্রে জানা যায়, মৃত যুবকের নাম আর্সলান ভালিভ। তিনি চিড়িয়াখানায় চাকরি করতেন। জানা যায়, স্ত্রী অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছে। এই সন্দেহে স্ত্রীকে মারধর করতেন ভালিভ। আর তারই ফলশ্রুতিতে স্ত্রী-র সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে যায় তাঁর।

স্ত্রী একাতিরিনা কাতায়া প্যাটিঝকিনা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই তিনি ভেঙে পড়েন। ২১ সেপ্টেম্বর ভিডিওতে তিনি কাতায়াকে হারানোর পরে তাঁর মানসিক অবস্থার কথা সবিস্তারে জানান।

আত্মহত্যার লাইভ ভিডিওতে তিনি জানান, তাঁর মৃত্যুর পরে কাতায়ার কাছে এই বার্তা যেন পৌঁছে দেওয়া হয় তিনি তাঁকে প্রচণ্ড ভালবাসেন।

ততক্ষণে অবশ্য ব্ল্যাক মাম্বার ছোবল তাঁর আঙুলে বসে গিয়েছে! ক্যামেরার দিকে সেই কামড় খাওয়া আঙুল বাড়িয়ে দেন তিনি। বলেন—‘‘এটা সুন্দর, না? আহ, কেমন যেন লাগছে… সকলকে বিদায়… আমি কোনও দিন ভাবিনি আমার সঙ্গে এমনটা হবে।’’

ক্রমশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পড়তে ভালিভ স্ত্রীর ফোন নম্বর জানিয়ে দেন সকলকে। জানান, তিনি কাঁপছেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, স্ত্রীকে একবার দেখতে পেলে তাঁর ভাল লাগত।

এর পর ক্রমশ আরও অবনতি হতে থাকে তাঁর অবস্থার। চোখ লাল হতে থাকে। শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হতে থাকে। ধীরে ধীরে মৃত্যু হয় তাঁর।

লাইভ ভিডিও দেখেই একজন শেষমেশ অ্য়াম্বুলেন্সে খবর দেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

অবশ্য এক বন্ধুর দাবি, লাইভে আত্মহত্যা করতে চাননি ভালিভ। যা ঘটেছে সেটা দুর্ঘটনাবশত।

ফেসবুক তথা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব দিনে দিনে বাড়ছে মানুষের জীবনে। যা কিছু গোপন, তাকেও নিমেষে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে। যৌন জীবনের পাশাপাশি আত্মহননের ঘটনাও যে পেসবুকে লাইভ হচ্ছে, এ কথা সেটাই প্রমাণ করছে।

ad

পাঠকের মতামত