
প্রাইভেট পড়তে বেরিয়ে আর ফিরল না স্কুলছাত্রী : ফিরল ধর্ষিত……
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় এক স্কুলছাত্রী সাদিয়া (১৩) কে অপহরণের পর তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
পরে ওই স্কুলছাত্রীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেলান্দহ স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা আলী বাদী হয়ে আজ রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে মোজাম্মেল হক (৩৫)নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মোজাম্মেল উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের মেঘারবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার সকালে ওই স্কুলছাত্রী বাড়ী থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। এ সময় মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর এলাকা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় মোজাম্মেল হক তাকে জোরপূর্বক তুলে নেয়।
পরে নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো রুমাল দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে মোজাম্মেল। পরবর্তীতে ওই স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে মোজাম্মেল গত শনিবার বিকালে দুরমুঠ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরে স্কুলছাত্রীকে সন্ধ্যায় মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর অসুস্থ ওই স্কুল ছাত্রী মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা সিদ্দিক আলী ও মা কাজলী বেগম ঢাকায় কর্মরত থাকায় সে তার নানী বাসিরুন্নেছার বাড়িতে থেকে শ্যামপুর হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো বলে জানাযায়।
মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.ফজলুল হক জানান-অচেতন অবস্থায় ছাত্রীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার জ্ঞান ফিরলেও সে খুবই দুর্বল।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। স্কুলছাত্রীর বাবা সিদ্দিক আলী অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।