182265

বারী সিদ্দিকীর দাফন সম্পন্ন নেত্রকোনার বাউল বাড়িতে

খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকীর শেষ ইচ্ছা পূরণ করতেই নেত্রকোনা সদরের কারলি গ্রামের বাউল বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দাফন করা হয়েছে। জানাজা ও দাফন কাজে পরিবার, আত্মীয়-স্বজনসহ উপস্থিত ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বারী সিদ্দিকীর ভক্ত অনুরাগীরা। এর আগে বিকেলে সাড়ে ৪টায় শহরের সাতপাই এলাকার সরকারি কলেজ মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী, বংশীবাদক ও গীতিকার বারী সিদ্দিকী স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় শেষনি:শ্বাস ত্যাগ করেন(ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। বারী সিদ্দিকীর দুটি কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়েছিলো।

এর পাশাপাশি তিনি বহুমূত্র রোগেও ভুগছিলেন। গত ১৭ই নভেম্বর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন এ শিল্পী। এরপর তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যওয়াা হয়, তখন তিনি অচেতন ছিলেন। তাকে দ্রুত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে তিনি সেখানেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বারী সিদ্দিকী বাংলাদেশ টেলিভিশনে সংগীত পরিচালক ও মুখ্য বাদ্যযন্ত্রশিল্পী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৫ সালে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ‘রঙের বাড়ই’ নামের একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে প্রথম সংগীত পরিবেশন করেন তিনি।

এরপর ১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে ৭টি গানে কণ্ঠ দেন। তার গাওয়া গান নিয়ে ডজনখানেক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘অন্তর জ্বালা’, ‘দু:খ রইল মনে’, ‘ভালোবাসার বসতবাড়ি’ ইত্যাদি। বারী সিদ্দিকী ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছাড়া আরো বেশকিছু চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ‘রূপকথার গল্প’, ‘নকোব্বরের মহাপ্রয়াণ’, ‘ও আমার দশেরে মাট’ি প্রভৃতি। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘শুয়াচান পাখি’, ‘পূবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’, ‘একটা জিন্দা লাশ’, ‘মাটির দেহ’, ‘মাটির মালিকানা’, ‘মানুষ’, ‘মা’ প্রভৃতি।

ad

পাঠকের মতামত