
অবিশ্বাস্য কাহিনি: ভাতিজি যখন স্ত্রী!
ঘড়ি মিস্ত্রি থেকে আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী। যোগাযোগ আল কায়দার মদদপুষ্ট জঙ্গিদের সঙ্গে।কলকাতা স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার আল কায়দার অস্ত্র ব্যবসায়ী মনোতোষের জীবনের পদে পদে রহস্য।
অস্ত্র ব্যবসায়ী মনোতোষ দে’র ইছাপুরের পূর্বপল্লির আদিবাড়িতে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মনোতোষের বাবা ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির কর্মী ছিলেন। ১৯৯৯ সালে এই বাড়ি বিক্রি করে দেন মনোতোষের বাবা। বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে চলে যাওয়ার পরও মাঝেমধ্যে পূর্বপল্লিতে আসত মনোতোষ। পরে প্রতিবেশী সবিতা সরকারের বাড়িতেই থাকা শুরু করে সে।
প্রতিবেশীদের কাছে মনোতোষকে নিজের দেবর বলে পরিচয় দিতেন সবিতা। আর সবিতার মেয়ে গৌরী সরকার তাকে কাকা বলে ডাকতেন। কিছুদিন পর সবিতা ও গৌরী ইছাপুর ছেড়ে চলে যান বসিরহাটে। সেখানে, সবিতা হয়ে যান মনোতোষের শ্বাশুড়ি। আর গৌরী হয়ে যান তার স্ত্রী।
ইতিমধ্যেই মনোতোষের দুই স্ত্রীর কথা প্রকাশ্যে এসেছে। ইছাপুরে খোঁজ মিলেছে মনোতোষের প্রথম স্ত্রী লক্ষ্মী দে’র। তাঁর কাছেই জানা গেছে কীভাবে সামান্য ঘড়ির মিস্ত্রি থেকে ধীরে ধীরে অপরাধ জগতে ঢুকে পড়ে মনোতোষ।
লক্ষ্মী জানান, ১৯৮৫ সালে ভালোবেসেই মনোতোষকে বিয়ে করেছিলেন মনোতোষ। সে সময় ঘড়ি সারাইয়ের কাজ করছিল সে। পরে প্রোমোটিং শুরু করে। ছেলে মাধ্যমিক পাশ করার পর প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যায় মনোতোষ। ছেলেকে নিজের কাছেই রেখে দেন লক্ষ্মী। লক্ষ্মীর সেই ছেলে এই সিভিক ভলান্টিয়ার। লক্ষ্মী জানান, ওই সময়ে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগে দুইবার গ্রেপ্তারও হয়েছিল মনোতোষ। এর পর ২০ বছর স্বামীর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ ছিল না লক্ষ্মীর। মনোতোষ আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী জেনে লক্ষ্মী বললেন, ‘আমার স্বামী এখন আমার কাছে মৃত। আমার এতে কিছু যায় আসে না। ‘ সূত্র: জিনিউজ