182068

এই ৮৫ বছরের বৃদ্ধের লালসার স্বীকার নাবালিকা স্কুলছাত্রীরা!

কয়েক বছর আগে স্ত্রী মারা গিয়েছেন। তার বয়সও আশি পেরিয়েছে। কিন্তু, তাতেও রেহাই নেই! অভিযোগ, চকলেটের লোভ দেখিয়ে স্কুলের নাবালিকা ছাত্রীদের উপর যৌন নির্যাতন চালাত হায়দরাবাদের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ।

স্থানীয় কসাইগুন্ডা এলাকা থেকে অভিযুক্ত এম সত্যনারায়ণকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মোট চারজন নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে ওই বৃদ্ধ। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে একই স্কুলের আরও চারজন ছাত্রী।

সারা দেশে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের মতো অপরাধ বাড়ছে। তাই তেলেঙ্গানার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে পড়ুয়াদের যৌন হেনস্তা নিয়ে সচেতন করতে প্রচারাভিযান শুরু করেছে স্থানীয় রাচাকুণ্ডা পুলিশ কমিশনারেট। নিয়মিত স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। আর তাতেই প্রকাশ্যে এসেছে ৮৫ বছরের এম সত্যনারায়ণের কুকীর্তি।

স্থানীয় কুসাইগুন্ডা থানার ইন্সপেক্টর কে চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর পরিবার ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, চারজন নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত। যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রী। নির্যাতিতাদের প্রত্যেকের বয়স ১২ বছর বা তার থেকে কম।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় এক বছর ধরে এই কুকীর্তি চালিয়ে যাচ্ছিল এম সত্যনারায়ণ। স্থানীয় স্কুল লাগোয়া একটি দোকানে নিয়মিত দেখা যেত তাকে। সেখানেই স্কুলের নাবালিকা ছাত্রীদের সঙ্গে ভাব জমাত সত্যনারায়ণ। লজেন্স, চকোলেট দিয়ে তাদের মনজয় করার চেষ্টা করত। এরপর ক্রমেই যখন তাকে বিশ্বাস করতে শুরু করত ছাত্রীরা, তখনই স্বমূর্তি ধারণ করত ওই বৃদ্ধ।

বিভিন্ন বাহানায় নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নাতনির বয়সী ওই ছাত্রীদের ধর্ষণ করত সত্যনারায়ণ। পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই ঘটনা ঘটলেও, ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে পুলিশে্র দ্বারস্থ হয়নি নির্যাতিতারা। নীরব ছিলেন তাদের পরিবারের লোকেরাও। অভিযুক্ত সত্যনারায়ণের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। খবর- সংবাদ প্রতিদিনের

ad

পাঠকের মতামত