182042

রহস্যময় এক ভুতুড়ে বন,যার কথা শুনে গবেষকদের চোখ কপালে উঠেছে!

রহস্যময় এই পৃথিবীতে রয়েছে রহস্যময় সবকিছু। গবেষকরা দিনের পর দিন, বছরের পর বছর গবেষণা রহস্যময় এই পৃথিবীর কিছু বিষয়ের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে গবেষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও বার বার ব্যর্থ হয়েছেন। তবুও থেমে নেই তাদের গবেষণা।

আজকে জুমবাংলার পাঠকদের জন্য রয়েছে এমন এক ভুতুড়ে বন সম্পর্কে সামান্য আয়োজন যে ভুতুড়ে বনের রহস্য গবেষকরাও এখনো উদঘাটন করতে পারেননি। বলছিলাম রোমানিয়ার ট্রান্সসিলভানিয়ায় অবস্থিত ক্লাজ নাপোকা শহরে ‘হইয়া বাছিউ’ বনের কথা। এই বনে প্রায়ই ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত ঘটনা বনটিকে ভৌতিক ও রহস্যময় করে রেখেছে।

প্রায় ২৫০ হেক্টর জায়গার উপর বনটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই বনের গাছগুলোর আকৃতিও কিছুটা অস্বাভাবিক, কেমন যেন ডালে ডালে প্যাঁচানো সব গাছ। অশরীরী কোনো কিছুর উপস্থিতি, অদ্ভুত কিছুর আবির্ভাব, আলোর বলয় সহ এমন অনেক কিছুরই বর্ণনা পাওয়া যায় এলাকাবাসী এবং বন পরিদর্শনে আসা লোকদের কাছ থেকে।

এছাড়া বনে ঘুরতে আসা প্রায় সকলের কাছ থেকেই শোনা যায়, তারা বনে থাকার পুরো সময়টা জুড়েই এক ধরনের অস্বাভাবিক মানসিক উদ্বিগ্নতায় ভুগে। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ বনে প্রবেশের পর নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এরপর যখন তারা ফিরে আসেন, তারা কিছুতেই মনে করতে পারেন না বিগত সময়টুকুতে তাদের সাথে কী ঘটেছিল বা তারা কোথায় গিয়েছিলেন।

এদিকে এই বন নিয়ে গবেষকরা চালিয়ে যাচ্ছেন নানা ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা। গবেষকরা ইতোমধ্যে পরীক্ষা করে দেখেছেন, এই বনে অস্বাভাবিক মাত্রায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণ, মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ ও ইনফ্রারেড বিকিরণ হয়ে থাকে। এছাড়াও এখানে চুম্বকীয় ও তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রের বেশ কিছু বিচ্যুতি রয়েছে।

সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হল বনের ঠিক মাঝখানে এমন একটি জায়গা রয়েছে, যেখানে কখনো কোনো ঘাস বা অন্যান্য কোনো গাছ-গুল্ম জন্মাতে দেখা যায়নি। বিজ্ঞানীরা এখানকার মাটি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন, কিন্তু পরীক্ষা করে এমন কোনো পদার্থের উপস্থিতি সেখানে পাওয়া যায়নি, যার কারণে কোনো উদ্ভিদের জন্ম এবং বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। সত্যি অদ্ভুত এক ভুতুড়ে এই বন শত চেষ্টা করেও আজ পর্যন্ত রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।

ad

পাঠকের মতামত