ভেবেছিলেন একটু বড় সাইজের অন্তর্বাস পড়লেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, কিন্তু……
ক্রমবর্ধমান স্তনের কারণে ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে শেরিডান লার্কম্যান নামের এক অস্ট্রেলিয় নাগরিককে। আট বছর বয়স থেকে তার স্তন বাড়তে থাকে। বয়স ২৩ এ পৌঁছতে পৌঁছতে তা রীতিমত সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
শেরিডান অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশের ট্রাফালগারে বসবাস করেন। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের মা। ১৬ বছর বয়সেই স্তনবৃদ্ধির এই সমস্যার কারণে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। ডাক্তাররা বলেছিলেন, ‘স্তনের আকার খুব একটা বাড়বে না।’
ডাক্তারের কথা শুনে শেরিডানও ভেবেছিলেন, একটু বড় সাইজের অন্তর্বাস পড়লেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ভেবেছিলেন, স্তনের বৃদ্ধিও থামবে।
কিন্তু বাস্তবে এমন কিছুই হয়নি। তেইশ বছরের এই যুবতীর স্তন এখনো বেড়েই চলেছে। অত্যাধিক বড় স্তনের কারণে পিঠে ও ঘাড়ে ব্যথা এবং শিরদাঁড়ার সমস্যায় যেমন ভুগছেন, তেমনি রাস্তায় অশ্লীল মন্তব্যের শিকার হচ্ছে তিনি। মুঠোফোনে অচেনা মানুষেরা পাঠাচ্ছেন অশ্লীল মেসেজ। বাইরে বের হওয়াও বন্ধ হয়েছে তার। বাড়িতে দৈনন্দিন কাজ করতেও অসুবিধায় পড়ছেন লার্কম্যান। সবমিলিয়ে জীবন দুর্বিষহ এক জীবন যাপন করছেন তিনি।
এই অদ্ভুত আর ভয়াবহ সমস্যার কারণে অভিনব সমাধানের পথ বের করলেন তিনি। শেরিডান এখন টাকা তুলে অস্ত্রোপচার করবেন ঠিক করেছেন। অস্ত্রোপচার করে তিনি তার স্তনের আকৃতি ছোট করবেন ঠিক করেছেন।
তবে এই খরচ ব্যাপক, প্রায় ১০ হাজার মার্কিন ডলার লাগবে এই অস্ত্রোপচার করতে। অস্ট্রেলিয়ায় এমন অস্ত্রোপচার হয় না, এর জন্য যেতে হবে প্রবাসে।
তবে আশা ছাড়ছেন না শেরিডান। গোফান্ডমি নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২ হাজার মার্কিন ডলারের অর্থ সাহায্য উঠাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।