
যে কারণে ৬৫ বছর বয়সেও নাতির সঙ্গে পরীক্ষার হলে নানি
নেপোলিয়ান বলেছিলেন, ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দেন, আমি শিক্ষিত জাতি দিবো।’ একটি শিক্ষিত মা পারে একটি শিক্ষিত সমাজ বা জাতি তৈরি করতে। তবে শিক্ষার কোন বয়স নেই, সেটাও আমরা জানি। যেকোন বয়সেই শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাউথকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমনই এক দৃষ্টান্ত পাওয়া গেল। ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা তারই নাতনীর সঙ্গে পিইসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
হরিরামপুর ইউনিয়নের সাউথকান্দা গ্রামের বর্গাচাষী কৃষক আবুল হোসেনের স্ত্রী সুন্দরী বেগম। এ দম্পতির চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে একজন সৌদিপ্রবাসী, দু’জন ভ্যানচালক। শুধু ছোট ছেলে সাইদুল ইসলামকে কষ্ট করে এইচএসসি পাস করিয়েছেন।
জানা যায়, ৬ বছর আগে সুন্দরী বেগম বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কাশিগঞ্জ শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলতে যান। সুন্দরী বেগম কোনো রকম স্বাক্ষর করতে শিখেছিলেন। তিনটি স্বাক্ষরের মধ্যে একটি স্বাক্ষর ভুল হওয়ায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ফাইলটি সুন্দরী বেগমের সামনে ছুড়ে মারেন।
কেঁদে কেঁদে বাড়ি ফিরে তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন, যে কোনো মূল্যে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসবেন তিনি। পরের দিন নাতি জিহাদকে নিয়ে সাউথকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হন।
সূত্র: যুগান্তর