181044

দিন শেষ এটা জানি, আমি একজন গ্রেট মম: পর্নস্টার মা!


সব বাবা-মা চায় তাদের ছেলেমেয়েকে খুশি রাখতে। ছেলেমেয়ের আবদার পূরণ করতে। অনেক সময় আবদার পূরণ করতে বাবা-মাকে করতে নিদারুণ কষ্টও। কিন্তু এটাতো একটু বেশি বেশিই হল মনে হয়! কী জানি, নাও হতে পারে। কোন মা-ই বা চায় অন্য বাচ্চারা যখন হেসেখেলে আনন্দ করছে, ক্রিসমাসের পার্টিতে হইচই করছে, তার বাচ্চার তখন মুখভার। পাশে বসে মাকে অনুযোগ করছে, ক্রিসমাস গিফটে সে খুশি নয়৷ মায়ের তো খারাপ লাগবেই। বিশেষত, তিনি যখন সিঙ্গেল মাদার। ছেলে আবদার করতে পারে, এমন কেউও নেই, বাবার দায়িত্বটাও থাকে তার।

পর্নস্টার মেগান ক্লারা! ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথের এই সিঙ্গল মাদার নিজেই জানিয়েছেন তার নীল-দুনিয়ায় প্রবেশের আত্মকথা৷ তিনি জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরে তার ছেলে একটা বাইকের জন্য বায়না করছিল। তিনি স্থির করেন বাইক কিনে দেবেন৷ কিন্তু কোথায় পাবেন এত টাকা? সব মিলিয়ে তখন তার উপার্জন ছিল সপ্তাহে ভারতীয় টাকায় ১০ হাজারের কিছু বেশি৷তবে দৃঢ়চেতা মেগান ক্লারা তখনই মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছিলেন, এই ক্রিসমাসে ছেলেকে এমন উপহার দেবেন, ছেলে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাবে।

মেগান সিদ্ধান্ত নেন অ্যাডাল্ট ছবিতে অভিনয় করবেন। এক একটা ছবির জন্য নেবেন ৫০০ পাউন্ড (প্রায় ৬০ হাজার টাকা)। ব্যস, পাল্টে গিয়েছে দিন। গতবার যেখানে ১০০ পাউন্ড খরচ করেছিলেন, এ বার ক্রিসমাসের আগেই ছেলের হাতে তুলে দিয়েছেন ১,৫০০ পাউন্ডের উপহার।

ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথের এই সিঙ্গল মাদার মুখে তৃপ্তির হাসি নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘২০০ পাউন্ড খরচ করে ছেলে অ্যাস্টনকে এবার একটা বাইক (বাইসাইকেল) কিনে দিয়েছি। গত তিন বছর ধরে ও এই বাইকটার জন্য বায়না করছিল। আমি দিতে পারিনি। এবার ক্রিসমাস গিফটে সেই কাঙ্ক্ষিত বাইক দিতে পেরে আমি আপ্লুত।’ শুধু বাইকই নয়, নতুন জামা, চকলেট, ঘর সাজানোর উপকরণ, খেলনা কিছুই বাদ দেননি।
মেগান আরও বলেন, ‘লোকজনের অভিযোগ, আমি নাকি আদর দিয়ে ছেলেকে বাঁদর তৈরি করছি। কিন্তু, আদতে তা নয়। ও আমার একমাত্র ছেলে। শুধু ছেলে নয়, ও আমার বন্ধুও, বেস্ট ফ্রেন্ড। ওকে খুশি রাখতে আমি যা-কিছু করতে পারি।’

মেগান যখন ১৪, সেই কিশোরীর কোলে আসে অ্যাস্টন। এখন মেগান ২০, ছেলে ৬। এরপর, চাইলে মেগান আবার স্কুলে যেতে পারত। নিজের পড়াশোনা নিয়ে থাকতে পারত। কিন্তু, ছেলেকে বড় করার স্বপ্নে, নিজের দিকে খেয়াল দেননি। এই যুবতী মায়ের কথায়, আমি সবসময় চেষ্টা করেছি, ছেলেকে সেরা জিনিসটা দিতে। সেভাবেই ওকে বড় করছি। অভাবটা ওকে বুঝতে দিইনি কখনও। কিন্তু, ওর স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। ওর বন্ধুরা ক্রিসমাসে দামি দামি উপহার পেত। আমি সেখানে ১০০ পাউন্ডও খরচ করতে পারতাম না। এই সামান্য টাকায় নতুন জামা কিনব, চকলেট কিনব না খেলনা, বুঝে উঠতে পারতাম না। ছেলেও মনক্ষুণ্ণ হত। আর তার জন্যই বেছে নেওয়া নীল দুনিয়া৷

পোর্টসমাউথের এই যুবতীর কিশোরীবেলার স্বপ্নই ছিল একদিন গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে বিচরণ করবেন। মডেল হবেন। টিনএজে পৌঁছে মডেলিংকেই পেশা করেন। কিন্তু, শুধু মডেলিং করে অনেক অনেক পাউন্ড উপার্জন সম্ভব নয়। তাই চলে আসেন পর্ন ছবির দুনিয়ায়।

মেগানের কথায়, আমি জানি অ্যাডাল্ট ফিল্মে অভিনয় করলে লোকে ভালো চোখে দেখে না। কিন্তু, আমার এ নিয়ে কোনও হীনম্মন্যতা নেই। আমরা মা-ছেলে আজ ইচ্ছেমতো দামি জামকাপড় পরতে পারি, চাইলে মাসে কয়েক দিন ‘ইটিং আউট’, এতেই আমরা খুশি। পাঁচজনের ভাবনার পরোয়া করি না। যে যতই কুৎসা করুক, দিনের শেষ এটা জানি, আমি একজন গ্রেট মম।’

ad

পাঠকের মতামত