
জঙ্গলে মাসের পর মাস আটকে রেখে ভাতিজিকে ধর্ষণ করল চাচা
টাঙ্গাইল উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের রতনপুর কাশেম বাজার এলাকার জঙ্গলের ভেতর একটি পরিত্যক্ত ঘরে ভাতিজিকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে চাচা।
গত রোববার বিকেলে ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ওই মেয়ের ভাই বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা (১৭) সখীপুর মহিলা কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। ওই মেয়ের বাবাকে ফুসলিয়ে গত ১১ জানুয়ারি চাচাতো চাচা এলাকার মৃত দরবেশ আলীর ছেলে দুই সন্তানের জনক মো. বাদল মিয়া তাকে জঙ্গলের ভিতর পরিত্যক্ত ওই ঘরে আটকে রাখেন। পরিবারের লোকজন অনেক খুঁজেও তার সন্ধান পাননি।
অবশেষে রোববার বিকেলে দীঘ ছয় মাস ১৭ দিন পর রতনপুর কাশেম বাজার এলাকায় চাচা মো. বাদল মিয়ার পরিত্যক্ত ঘর থেকে এলাকাবাসী ওই ছাত্রীকে অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে গুরুতর অবস্থায় টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, দীর্ঘ ছয় মাস ১৭ দিন ওই ঘরে আটকে রেখে চাচা মো. বাদল মিয়া তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করেছেন। তিনি ৩-৭ দিন পরপর ওই ঘরে গিয়ে খাবার দিতেন এবং নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাওয়ানোর কারণে তিনি শুধু ঘুমিয়েই থাকতেন।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ ঘটনায় আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।