180267

চিটাগংকে সহজেই হারিয়ে খুলনার টানা দুই

ম্যাচ শেষে খুব বেশি উদযাপন নেই খুলনা টাইটান্সের। খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে ও প্রতিপক্ষ চিটাগং ভাইকিংসের দুই ব্যাটস্যানের সঙ্গে হাত মেলালেন। খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তো মাঠে ছাড়লেন চিটাগং ব্যাটসম্যান সানজামুল হকের কাঁধে হাত রেখে কথা বলতে বলতে। আসলে এমনই তো হবে। ম্যাচের জয় পরাজয় যে নির্ধারন হয়ে গেছে ১৬ ওভার শেষ হওয়ার আগেই। টস হেরে আগে ব্যাট করে খুলনা টাইটান্স করেছিল ৭ উইকেটে ১৭০ রান। জবাবে চিটাগংয়ের ইনিংস থেমেছে ৭ উইকেটে ১৫২ রান করে। তাতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রোববার দিনের প্রথম খেলায় ১৮ রানে জয় খুলনার।
.
১৭১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার লুক রনকি ও সৌম্য সরকারকে হারিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে চিটাগং। এই দুই ওপেনারকে প্রথম ওভারেই পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন জায়েদ। তৃতীয় বলে লুক রনকি আউট হন ব্যক্তিগত ২ রান করেই। চতুর্থ বলে সৌম্য সরকার ফিরে যান সাজঘরে। কোন রানই সংগ্রহ করতে পারেননি তিনি। দলীয় ২ রানে ২ উইকেট হারানো চিটাগং ২১ রানেই আরেকটি উইকেট হারায়। ঘাতক সেই জায়েদ। ১০ রান করে ফিরে যান দিলশান মুনাবিরা। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে এনামুল হক বিজয়ের উইকেট তুলে নেন ব্র্যাথওয়েট। আউট হওয়ার আগে ১৮ রান করেন বিজয়। ম্যাচের ভাগ্য কি হতে যাচ্ছে বোঝা যায় তখনই। কিন্তু মিসবাহ-উল-হক ও সিকান্দার রাজা কিছুটা আশা জাগালেন পঞ্চম উইকেটে জুটিটে।

মিসবাহ ও রাজা মিলে পঞ্চম উইকেটে তুললেন ৫৯ রান। তাতে মিটিমিট করে আশার প্রদীপটা জলে থাকলো চিটাগংয়ের। কিন্তু রাজা ৩৭ রান করে ফিরে যেতেই যেন সব শেষ। ৯৭ রানে ৫ উইকেটে পড়লো চিটাগংয়ের। ১০ রানের ব্যবধানে ফিরে গেলেন মিসবাহও। ৩৭ বলে ৩০ রান করেছেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্তর বলে আবু জায়েদ তার ক্যাচটি নিয়েছেন দারুণ ভাবে। এরপর লুইস রিস ২২ রান করেছেন। ১৪ রানে তানবীর হায়দার ও ৫ রানে সানজামুল অপরাজিত থাকলেন। কিন্তু পরাজয় যে লেখা হয়েছে তাদের আগেই। খুলনার আবু জায়েদ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেটে নিয়েছেন জফরা আর্চার, শফিউল ইসলাম ও ব্র্যাথওয়েট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৭০ রান করে খুলনা। মাহমুদউল্লার দলের শুরুটাও ছিল চরম হতাশার। প্রথম ওভারেই শাডউইক ওয়ালটনের (৫) উইকেটে হারিয়ে শুরু। স্কোর বোর্ডে ১৩ রান উঠতে তৃতীয় ওভারে ফিরে যান মাইকেল ক্লিঙ্গার (২)। ২৯ রানে ৩ উইকেট হারালে বড় বিপর্যয়ের শঙ্কাতেই পড়ে দলটি। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে প্রথম ম্যাচে ফেরার বার্তা। রাইলি রুশোর সঙ্গে ছোট্ট একটা জুটি গড়েন। রুশো ফিরে যান ২৫ রান করে।

এরপর মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল হকের পাল্টা আক্রমণ চিটাগংয়েল উপর। মাহমুদউল্লা ৩৩ বলে ২টি করে ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে ৪০ রান করেন। পরে আরিফুলের সঙ্গে কার্লোস ব্র্যাথওয়েট যোগ দিয়ে ঝড় তুলেন। ব্র্যাথওয়েট ১৪ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩০ রান করেন। আরিফুল করেন ২৫ বলে ৪০ রান। ১টি চার হাকিয়ে ইনিংসের সর্বাধিক ৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। চিটাগং বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ৪৩ রানে ২ উইকেট নেন। এছাড়া সানজামুল ২টি এবং মুনাবিরা ও শুভাশিষ রায় নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
খুলনা টাইটান্স : ১৭০/৭ (২০ ওভার) (ওয়ালটন ৫, শান্ত ৯, ক্লিঙ্গার ২, রুশো ২৫, মাহমুদউল্লাহ ৪০, আরিফুল ৪০, ব্র্যাথওয়েট ৩০, আর্চার ১১*; সানজামুল ২/২০, রাজা ০/১৭, মুনাবিরা ১/১৬, শুভাশীষ ১/২১, তাসকিন ৩/৪৩, তানবীর ০/৪৪, লুইস ০/৯)।

ad

পাঠকের মতামত