মানব জীবনে যে তিনটি অভিশাপ মৃত্যুর পরেও মানুষের পিছু ছাড়ে না
কৃতকর্মের ফল যে এই জন্মেই ভোগ করতে হয়, তা এই নীতি খোলাখুলি জানায়। সেই সঙ্গে এ কথাও বলে, এই জীবনেই কখনও কখনও মানুষ অভিশপ্ত হয়ে পড়ে। ভারতের পরম্পরাগত নৈতিক বিধান ‘চাণক্য নীতি’-কে গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই নীতিবাক্যমালা কোনও আধ্যাত্মিক কথা কখনই বলেনি।
বরং ইহজীবনের সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিকেই বার বার তুলে ধরেছে ‘চাণক্য নীতি’। পাপ ও পুণ্যকেও এই নীতি ঐহিকতার সাপেক্ষেই দেখে। কৃতকর্মের ফল যে এই জন্মেই ভোগ করতে হয়, তা এই নীতি খোলাখুলি জানায়। সেই সঙ্গে এ কথাও বলে, এই জীবনেই কখনও কখনও মানুষ অভিশপ্ত হয়ে পড়ে। তার সেই অভিশাপ আসে তার কৃতকর্ম থেকেই। এর মধ্যে এমন তিনটি অভিশাপের কথা ‘চাণক্য নীতি’ জানায়, যার ফল এই জীবনকে যেন অতিক্রম করে যায়।
দেখা যেতে পারে, কী সেই তিনটি অভিশাপ। খবর এবেলার।
• কোনও দম্পতি যদি শেষ বয়সে পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান, তবে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। বৃদ্ধাবস্থায় পুরুষের বিপত্নিক ও নারীদের বিধবা হওয়াকে ‘চাণক্য নীতি’ অভিশাপ-সম বলে বর্ণনা করে। এই শূন্যতার বোধ পরজন্মেও যেন ধাওয়া করে যায়।
• জীবনের কোনও পর্যায়ে যদি মানুষকে গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হয়, তবে সেই মানুষও ‘চাণক্য নীতি’-র মতে অভিশপ্ত। প্রতিবন্ধী মানুষও মনের জোরে গিরি লঙ্ঘন করতে পারে। সেক্ষেত্রে পরমুখাপেক্ষিতা একান্তই অভিশাপ। এই শাপটিও যেন পরজন্মে গড়িয়ে যায়।
• নিজের কঠোর পরিশ্রমের ফল যখন অন্যায় ভাবে অন্য কেউ ভোগ করে, তখন তা অভিশাপ হিসেবেই দেখা দেয়। ‘চাণক্য নীতি’-র মতে, এতে পরিশ্রমী মানুষটি নিজেকে অভিশপ্ত বলেই মনে করতে শুরু করে। তার জীবন বিষময় হয়ে যায়। পরিতাপ যেন জন্মান্তরেও পিছু ছাড়ে না তার