‘বিয়ের কথা বলে রিপন আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে’
নীলফামারী সৈয়দপুর বাঙালিপুর ইউনিয়নে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অনশন শুরু করেছেন। গতকাল শুক্রবার থেকে এ অনশন শুরু করেন।
অভিযোগে জানা যায়, দেবীগ্ঞ্জ ঠাকুরের হাট এলাকার নিখিল চন্দ্র রায়ের মেয়ে আদুরির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সৈয়দপুর বাঙালিপুর ইউনিয়নের জেলেপাড়া গ্রামের জনক দাসের ছেলে রিপনের সাথে।
এক পর্যায়ে আদুরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক মেলামেশা করে রিপন। এভাবে ১ বছর পেরিয়ে যায়। কয়েক মাসে আগে আদুরীর বাবা-মা রিপনের বাড়িতে এসে তার বাবা-মায়ের সাথে বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করে। রিপনের বাবা আদুরীর বাবাকে জানায়, উভয়ের বয়স কম থাকায় তাদের এখন বিয়ে দেয়া যাবে না। বয়স হলেই তাদের বিয়ে দেয়া হবে।
এই কথা বলেই তাদের বিদায় দিয়ে কয়েকদিন পর হঠাৎ রিপনের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে। বিষয়টি জানতে পেরে আদুরী তার নানিকে নিয়ে ১০ নভেম্বর বিকেলে রিপনের বাড়িতে আসে। রিপনের বাড়িতে এলে ঘটনা বেগতিক দেখে রিপনের মা ও মাসি আদুরীসহ তার নানিকে মারধর করে।
এসময় রিপনের মা বাঁশের লাঠি দিয়ে আদুরীকে মারধর করে। এছাড়া রিপনের আত্মীয়-স্বজনরা তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে এবং ওই স্থান থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। রাতে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খয়রাত ও ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল বাবু ঘটনাস্থলে এসে উভয়ের সাথে আলোচনা করে।
সেই আলোচনা গভীর রাত পর্যন্ত চলে। আলোচনায় কোনো সুরাহা না হওয়ায় আলোচনা অসমাপ্ত রেখে চেয়ারম্যান ও মেম্বার ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এসময় রিপনের পরিবারের লোকজন জানান, তারা আদুরীকে বউ হিসেবে মেনে নিতে রাজি না। অপরদিকে আদুরী জানায়, রিপন আমার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে বিয়ের কথা বলে আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। আমার আর কিছু নেই। তাকে আমি স্বামী হিসেবে চাই। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। ১১ নভেম্বর ঘটনাস্থলে গেলে বিয়ের দাবিতে আদুরী অনশন অব্যাহত রেখেছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলুর রশীদ সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি আমি জানি। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সহিত দেখা হচ্ছে।
সূত্র: সময়ের কন্ঠস্বর