179869

আবাসিক হোটেলে গৃহবধূসহ ছাত্র-ছাত্রী! অতঃপর…

পাবনায় আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার সময় হাতে নাতে ১০ জন নারী-পুরুষ সহ হোটেল ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শহরের মাসুম বাজার এলাকার ড্রীম প্যালেস আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করেছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবনে মিজানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই হোটেলে অভিযান চালায়।

এসময় হোটেলের ৫টি কক্ষ থেকে ৫ জুটিকে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় আটক করা হয়।

পরে অসামাজিক কার্যকলাপের সুযোগ করে দেওয়ার অপরাধে হোটেল ম্যানেজার আতিয়ার রহমানকেও আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে গৃহবধূ সহ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীও রয়েছে।

হোটেলের রুম তত্মাবধায়ক কামাল আহমেদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি আব্দুর রাজ্জাক আরো জানায় এই হোটেলে প্রতিদিনের ন্যায় আজও সকালে ৮/৯ টি জুটি আসে। তারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করলে প্রতিটি রুমের জন্যে ২৫ শত টাকা প্রদান করেন। হোটেল মালিক যে ভাবে কাজ করতে বলে সে ভাবেই তারা কাজ করেন।

স্থানীয়রা একাধিক বাসিন্দা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাসুম বাজারের হোটেল ড্রীম প্যালেসে অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে। এলাকাবাসী বার বার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি।

অনেক সময় পরিবার পরিজন নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়।আমরা এলাকাবাসী পুলিশের এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে অসামাজিক এই কার্যকলাপ স্থায়ী ভাবে বন্ধ করার দাবী করেছেন।

এলাকাবাসী আরো বলেন, পাবনা বর্তমানে একটি শিক্ষানগরী হওয়ায় বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশে শহরের প্রভাবশালী মাহফুজ আলী কাদেরীর হোটেল ড্রীম প্যালেসে এ ধরনের কার্যকলাপ চললেও ভয়ে অনেক্ইে মুখ খুলতে সাহস পায়না।

পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবনে মিজান জানান, দীর্ঘদিন ধরে শহরের কয়েকটি হোটেলে এসব কর্মকান্ড হচ্ছে, এমন খবর পেয়েই আমাদের এই অভিযান।

সম্প্রতি ঢাকাসহ সারা দেশে হোটেল কেন্দ্রিক পরকীয়া হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড হওয়ার প্রেক্ষিতে আমরা অভিযানের সিদ্ধান্ত নেই। তারই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান চালানো হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

ad

পাঠকের মতামত