179881

বাড়ি লিখিয়ে নিয়ে মাকে তাড়িয়ে দিলো ছেলে

মুড়ি ও তেলেভাজা বিক্রি করে সারা জীবনের জমানো অর্থে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুরুলিয়া জেলার নবগ্রামে ছোট্ট এক টুকরো জমি কিনেছিলেন আরতি কর ও তার স্বামী যুবরাজ কর। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসারের খরচ চালানোর পর কষ্ট করে নির্মাণ করেছিলেন দুই রুমের একটি পাকা বাড়ি।

শখ করে ছেলে-মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন যুবরাজ। কিন্তু ছেলের বিয়ের পরই তার মৃত্যু হয়। বাবার মৃত্যুর পর সন্তানের আচরণও বদলে যায়। ছেলে ও পুত্রবধূর সংসারে থাকলেও কার্যত পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় আরতিকে। শত লাঞ্ছনার পরও স্বামীর স্মৃতি আঁকড়ে ওই বাড়িতেই ছেলের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ছেলে ও পুত্রবধূ। এখন পথে পথে কার্যত ভিক্ষা করে দিন কাটছে আরতির জীবন।

তার অভিযোগ, বাড়িতে অকথ্য অত্যাচার করত ছেলে। এমনকি বাড়িটিও জোর করে নিজের নামে লিখিয়ে নেয় সে। মা’কে তাড়িয়ে ওই বাড়ির সামনে দোকান খুলেছে ছেলে। এক ছেলে ও মেয়ে নিয়ে বাড়িতে আরামেই জীবন কাটছে অভিযুক্ত ছেলে সুকুমার কর ও তার স্ত্রী ঝুমা রানির সংসার। আর বিচারের আশায় পথে পথে ঘুরছেন ও মন্দিরে ভিক্ষা চেয়ে দিন কাটাচ্ছেন বিধবা আরতি। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

প্রায় এক দশক আগে ছেলেও পুত্রবধূর নামে বেআইনি দখলের অভিযোগে ও ভরণপোষণের দাবিতে বাঁকুড়া আদালতে মামলা করেছিলেন আরতি। গত বছরের অক্টোবরে মামলার শুনানিতে মা’কে মাসিক দু’হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য সুকুমারকে নির্দেশ দেন আদালত। এরপর নির্দেশ অমান্য করায় তাকে গ্রেপ্তার করে ছাতনা থানার পুলিশ। কিন্তু পরে সে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যায়।

এদিকে, আদালতের কাজকর্ম পরিচালনা ও উকিলের ফি দেওয়ার সাধ্য নেই বিধবা আরতির। তাই ঝুলে আছে মামলাটি। এখনও বিচারের অপেক্ষায় আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।

ad

পাঠকের মতামত