179747

নর্থ সাউথের শিক্ষক সিজার নিখোঁজ

বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও জঙ্গিবাদবিষয়ক গবেষক মুবাশ্বার হাসান সিজারকে মঙ্গলবার বিকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় করা এক সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি)এ কথা জানিয়েছেন সিজারের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন।

খিলগাঁও থানার ওসি মো. মশিউর রহমান যুগান্তরকে জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষকের বাবা আমাদের জানিয়েছেন, তিনি মঙ্গলবার সকাল ৭টায় দক্ষিণ বনশ্রীর বাসা থেকে বের হয়েছেন। এর পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ওসি জানান, বুধবার দুপুরে মোতাহার হোসেন আমাদেরকে জানিয়েছেন, তার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়ার পর দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন(এটুআই)প্রকল্পের মিটিংয়ে যোগ দিতে আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে যান। এর পর থেকে সিজার নিখোঁজ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ও ৪টার সময় সিজারের সঙ্গে মোতাহার হোসেন সর্বশেষ কথা বলেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মঞ্জুর হোসেন সিজারের চাচা।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আমার বড় ভাইয়ের ছেলে সিজার গতকাল থেকে নিখোঁজ। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। সে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন সে যাতে নিরাপদে ফিরে আসে এবং ভালো থাকে। আমরা খুবই চিন্তিত।

সিজার বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক ইসলাম’বিষয়ক গবেষণা করেছিলেন। সর্বশেষ সমাজে জঙ্গিবাদের বিস্তারের বিষয়ে গবেষণারত ছিলেন তিনি।

মঞ্জুর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত ২৫ অক্টোবর একজন ছাত্র পরিচয় দিয়ে বাসায় খুঁজতে আসার পর থেকে সে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল।

সিজার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করার পর যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স ও অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি করেন।

কয়েক বছর আগে দেশে ফেরার পর তিনি বেসরকারি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।

আলোচনা ডটমক নামে একটি সাময়িকীর সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিজার বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও সাংবাদিকতা করেছেন।

ad

পাঠকের মতামত